দেশজুড়ে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে, এবং আবহাওয়া অফিস থেকে শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে নতুন দুঃসংবাদ দিয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষত পঞ্চগড়, রাজশাহী এবং চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে ইতোমধ্যেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই বছরের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বরের পর শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা আরও কমে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। ঢাকার ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমে আসতে পারে।
তবে, ঘন কুয়াশার প্রবণতা এবারও গত বছরের মতো থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সময়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে আগামী তিন দিন সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে, তবে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পঞ্চগড়, রাজশাহী এবং চুয়াডাঙ্গায় চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এবং সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত একই ধরনের আবহাওয়া থাকবে। তবে ৫ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহ শেষে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের এই তীব্রতা দেশের বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে। ঘন কুয়াশা এবং কম তাপমাত্রার কারণে শীতজনিত রোগবালাই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সবাইকে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ব্যবহার এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, এই শীত মৌসুমে তীব্র ঠাণ্ডার প্রকোপ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বিশেষত উত্তরাঞ্চলের মানুষদের জন্য এটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানো জরুরি।