আজকের খবর

এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা: মেয়র আতিক

Staff Reporter

Staff Reporter

সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪
এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা:  মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, নিজ নিজ ঘরবাড়ি ও অফিস পরিষ্কার রাখবেন। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা হয়। ২৭ এপ্রিলের পর থেকে কোনো বাড়িতে-অফিসে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে মিরপুরের রুপনগর আবাসিক এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান উদ্বোধনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র আতিক বলেন, সরকারি অফিসেও যদি লার্ভা পাওয়া যায়, সেই অফিসের যিনি দায়িত্বে আছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা হবে। এমনকি আমার সিটি করপোরেশনের কোনো অফিসেও যদি লার্ভা পাওয়া যায়, সেই অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আগেই ঘোষণা দিয়েছি, ঈদের পর থেকে ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করবো। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি রয়েছে। তারা সবসময় আমাদের পরামর্শ দেন, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কীটতত্ত্ববিদরা বলেছেন, এখন থেকেই মাঠে নামতে। তাই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। বিনীত অনুরোধ, আপনারা সচেতন হলে জেল-জরিমানা, মামলার দরকার নেই। তিন দিনের জমা পানি ফেলে দিন। এডিস মশা জন্মাতে পারে এমন জায়গাগুলো পরিষ্কার করুন। এডিস মশা কামড় না দিলে ডেঙ্গু হবে না। সচেতন হয়ে নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকেও নিরাপদ রাখুন।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে খালের ও ড্রেনের ময়লা পানিতে এডিস মশা জন্মায় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা জন্মায়। যেসব পরিত্যক্ত দ্রব্যাদিতে পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে সেসব দ্রব্যাদি সিটি করপোরেশন কিনে নিচ্ছে। ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, দইয়ের কাপ এগুলো যত্রতত্র না ফেলে ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের কাছে জমা দিন। নগদ টাকা গ্রহণ করুন। পুরোনো টায়ার, কমোড, রঙের কৌটা এগুলো ছাদে বা বারান্দায় না রেখে আমাদের কাউন্সিলরদের কাছে জমা দিয়ে টাকা নিন।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, অঞ্চল-৪-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিখা চক্রবর্তী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।