রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড় খেয়া ঘাটের বৈধ ইজারাদারকে হটিয়ে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে খেয়াঘাট দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জানা যায়, ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড়ের ওই ইঞ্জিন চালিত টলার নৌকা ঘাট ইজারা নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা ছোটভাকলা ইউনিয়নের মৃত ভগবান পাটনির ছেলে বিষ্ণু পাটনি ভোগ দখল করে আসছিলেন। ৫ই আগষ্ট দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর ৬ আগষ্ট রাজবাড়ী সদর উপজেলা বরাট ইউনিয়নের চর বরাট গ্রামের কোমল সরদারের ছেলে মোঃ মিনাল সরদার ও গোয়ালন্দ উপজেলা ছোটভাকলা ইউনিয়নের ওবায়দুল সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান নিয়ন তাদের দলবল নিয়ে খেয়া ঘাটে এসে বিষ্ণুকে তাড়িয়ে দিয়ে খেয়া ঘাটের দখল নেয়।এরপর হতে বিষ্ণু ওই খেয়া ঘাট মিনাল ও নিয়নের দখলে।
এ বিষয়ে ইজারাদার বিষ্ণু তার নামে ছোটভাকলা ইউনিয়ন হতে পাওয়া তার নামীয় কাগজ পত্র দেখিয়ে বৃহস্পতিবার জানান, আমার পূর্বপুরুষ হতে বংশানুক্রমে প্রায় ১৫০ বছর যাবত সরকারী বিধি অনুযায়ী আমরা এই ঘাটের ইজারাদার। কেউ কখনও আমদের বাধা দেয় নাই। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরের দিন হঠাৎ মিনাল ও নিয়ন তাদের লোকজন নিয়ে এসে বিএনপির কথা বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ইসমাইল হোসেন মোল্লা বলেন ওরা ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্য। এতোদিন আওয়ামীলীগের দাপটে লুটপাট করেছে। আওয়ামীলীগ পতনের পর রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাট ঠিক রাখার চেষ্টা করছে।
অভিযুক্ত মিনাল সরদার মুঠোফোনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে ছোটভাকলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিষ্ণুকে ওই খেয়া ঘাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। তারা বংশানুক্রমে দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘাটের ইজারাদার। তাদের কেউ তারিয়ে দিলে এটা অন্যায় করা হয়েছে।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা এসে খেয়া ঘাটের মূল মালিকের কাগজপত্র দেখে তাকেই ঘাটের দায়িত্ব দেন এবং তাকে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।