বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে—এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর ফেরায় সরকারের কোনো আপত্তি নেই। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ শনিবার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান।
প্রেস সচিব লিখেছেন, এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধিনিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নেই।
এর আগে আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে লন্ডন থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়ার সুযোগ অবারিত নয়” এবং তা তাঁর “একক নিয়ন্ত্রণাধীনও নয়। তারেক রহমানের মন্তব্যের পরই সরকারের পক্ষ থেকে এই স্পষ্টীকরণ এল।
মায়ের সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছিলেন, মায়ের স্নেহ–স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য সবার মতো এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত নয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক বাস্তবতার উন্নতি হলেই দেশে ফেরার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে বলে তাঁর পরিবার আশাবাদী। তবে বাধা কোথায় বা কার পক্ষ থেকে—সে বিষয়ে তাঁর পোস্টে কোনো ব্যাখ্যা ছিল না।
২০০৮ সালে ওয়ান–ইলেভেনের সময় কারাগার থেকে জামিন নিয়ে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে যান। তারপর থেকে তিনি আর দেশে ফেরেননি। সেখান থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনা করছেন।
গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার সাজা বাতিল হয়। এরপর থেকেই তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত দুই দিন ধরে দলের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা চলছিল—তারেক রহমান যেকোনো মুহূর্তে দেশে ফিরতে পারেন। তবে আজকের পোস্টে তিনি জানান, সিদ্ধান্ত তাঁর একার হাতে নয়।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর পোস্টে আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।