জাতীয়

নির্বাচনী নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার এআই-সংযুক্ত বডি ক্যামেরা সংগ্রহের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
নির্বাচনী নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার এআই-সংযুক্ত বডি ক্যামেরা সংগ্রহের উদ্যোগ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন পুলিশ সদস্যদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংবলিত প্রায় ৪০ হাজার বডি ওয়ান ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।


গত শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় বৈঠকে উক্ত প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।


প্রধান উপদেষ্টার যাচাইকৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বৈঠকে অবহিত করেন যে, উল্লিখিত বডি ক্যামেরা সংগ্রহের কার্যক্রম ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সহস্রাধিক ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রযুক্তিসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও জানান, অক্টোবর মাসের মধ্যেই ক্যামেরাগুলি সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান সম্ভব হয়।


উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য ইতোমধ্যে জার্মানি, চীন এবং থাইল্যান্ডের তিনটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাথমিক যোগাযোগ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের কর্মকর্তাগণ ও কনস্টেবলগণ উক্ত ক্যামেরা পরিধান করবেন, যা সরাসরি তাঁদের বুকে সংযুক্ত থাকবে।


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুততম সময়ে সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে শতভাগ নিরাপত্তা বিধান করাই আমাদের অঙ্গীকার। আমরা এই নির্বাচনী আয়োজনকে ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”


বৈঠকে আরও জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী এক অভিনব ‘নির্বাচনী অ্যাপ’ চালুর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে থাকবে প্রার্থীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, ভোটকেন্দ্রের হালনাগাদ পরিস্থিতি এবং অভিযোগ দায়ের করার ইন্টারঅ্যাকটিভ সুবিধা। প্রধান উপদেষ্টা অ্যাপটি দ্রুত চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “এটি যেন দেশের ১০ কোটির অধিক ভোটারের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য হয়— সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।”


এভাবে, নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থার এক নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।