সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটে গত কয়েক দিনের টানা গরমের পর বৃষ্টি নেমেছে। বৃষ্টি হওয়াতে জন জীবনে স্বস্তি নেমেছে। ৩ দিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদ নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সিলেট জুড়ে বন্যার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। ইতোমধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সিলেটের ওপর দিয়ে বয়ে চলা নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে।
গত ৩ দিনের বৃষ্টিপাতে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় বাঁধ ভেঙে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভারতের মেঘালয় পর্বতের চেরাপুঞ্জি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট বিভাগের জেলা গুলোর জন্য বন্যা আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা দেখা যায়, দুইদিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বুধবার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাওযার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বড় নদী সারী, বড়গাং, নয়াগাং ও রাংপানি নদীর বিপৎ সীমার কাছা-কাছি রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে গবাদি পশু নিয়ে উৎকণ্ঠায় পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।