দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৯টার দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ফ্লাইটটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।
ফ্লাইট ৭সি২২১৬-এ ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। মাত্র দুজন ক্রু সদস্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে ছেঁচড়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায়। এরপর সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের গোলকে পরিণত হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়, যা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।
জেজু এয়ারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার এভিয়েশন কর্তৃপক্ষও তদন্ত শুরু করেছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মক দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই দিনের মাথায় এই বড় সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেজু এয়ার, যা দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ বাজেট এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে অন্যতম, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি তাদের প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি