আন্তর্জাতিক

আইন ভঙ্গের দায়ে যুক্তরাজ্যে জরিমানার মুখোমুখি টিউলিপ সিদ্দিক

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
আইন ভঙ্গের দায়ে যুক্তরাজ্যে জরিমানার মুখোমুখি টিউলিপ সিদ্দিক
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য ও লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি, একটি সম্পত্তি থেকে আয় অপ্রদর্শনের অভিযোগে ১০ হাজার ইউরো জরিমানার মুখে পড়েছেন। লন্ডনের একটি সম্পত্তি থেকে ভাড়া বাবদ আয় এক বছরের বেশি সময় ধরে সঠিকভাবে ঘোষণা না করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার।
তদন্তে উঠে এসেছে, টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার স্বামী ক্রিস পার্সি ২০১৮ সালে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ইউরো দিয়ে লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। তবে ১৪ মাস ধরে ওই ফ্ল্যাট থেকে প্রাপ্ত আয় সঠিকভাবে ঘোষণার নিয়ম মানেননি তারা। এমপি হিসেবে আর্থিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়ম ভঙ্গের দায়ে স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার তাকে দায়ী করেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, লন্ডনের ওই সম্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট (ইপিসি) নবায়ন করা হয়নি। যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, ভাড়া দেওয়া সম্পত্তির ক্ষেত্রে বৈধ ইপিসি থাকা বাধ্যতামূলক। আইন লঙ্ঘনের জন্য বাড়ির মালিকদের ন্যূনতম ১০ হাজার ইউরো থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
টিউলিপ সিদ্দিক এ ঘটনা সম্পর্কে এটিকে একটি ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারের কাছে তার নিয়ম লঙ্ঘনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও এই ব্যাখ্যা তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
এছাড়া টিউলিপ সিদ্দিকের নাম বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড (৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাতের অভিযোগের সঙ্গেও জড়িত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বাংলাদেশে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি সম্পাদনে মধ্যস্থতা করেছিলেন।
এই প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ উঠেছে, যা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের আওতায় রয়েছে। দুদক এই প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করছে। শেখ হাসিনা টিউলিপ সিদ্দিকের খালা।