বলিউড

কেন বার বার ট্রলের স্বিকার হন অজয়-কাজল কন্যা নাইসা দেবগণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
কেন বার বার ট্রলের স্বিকার হন অজয়-কাজল কন্যা নাইসা দেবগণ
কাজল কন্যা নাইসাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল নতুন বিষয় নয়। বারে বারে তিনি চর্চিত নেটপাড়ায়।
কখনো পোষাক নির্বাচন নিয়ে আবার কখনো গায়ের রং কিংবা চলাফেরা নিয়ে প্রায়ই ট্রলের শিকার হন অজয় কন্যা।এছাড়া, বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে যোগ দিয়েই অধিকাংশবার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।এমনকি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় মদ্যপ অবস্থায় দেখা মিলেছে তাঁর। বিদেশে সর্বক্ষণ পার্টি করার অভিযোগেও বিদ্ধ হয়েছেন নাইসা।শোনা যায়, স্টারকিডদের পার্টি থেকে শুরু করে বলিউডের রাঘব বোয়ালদের ব্যক্তিগত পার্টিতেও নাকি দেখা মেলে নাইসার।এছাড়া কিছুদিন আগেই নাইসার আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা নিয়ে নতুন করে হাসাহাসি শুরু হয় নেটমাধ্যমে।

যেখানে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে হিন্দিতে বক্তৃতা দিতে যেয়ে দু তিন লাইন হিন্দি বলেই শব্দ হারিয়ে একাধিক বার হোঁচট খান নাইসা। এ নিয়ে কটাক্ষের স্বীকার হতে হয় তাকে।গত কয়েক মাসে নায়সার রূপের দ্যুাতি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। হঠাৎ করেই তার সুন্দরী হয়ে উঠার পেছনে অনেকেই বলছেন প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে রূপ বদলে ফেলেছেন এই ‘স্টারকিড’।অনেকে আবার তাঁর আগেকার ছবির পাশে এখনকার ছবি বসিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নেচিবাচক মন্তব্যেরও শিকার হন নাইসা।মূলত তাঁর পার্টির ছবি, ভিডিওর দৌলতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চিত তারকাদের তালিকায় থাকেন তিনি।

এদিকে, নাইসাকে নিয়ে ট্রল হবার কারণে বাবা মা দু'জনকেই নানা রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।আর তাতেই বারবার মেজাজ হারাচ্ছেন কাজল। মেয়েকে নিয়ে কোনো রকম বিব্রতকর প্রশ্ন তিনি শুনতে চান না।
কোনো জবাবও দিতে চান না। উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের উপর চড়াও হয়েছেন কয়েকবার। একটি সাক্ষাৎকারে মা কাজল জানান, নায়সার রূপের রহস্যে রয়েছে তার খাদ্যাভ্যাস, প্লাস্টিক সার্জারি নয়।

এছাড়া রূপচর্চা এবং স্বাস্থ্য নিয়ে ও একটু বেশিই সচেতন নায়সা। সপ্তাহে অন্তত তিন বার একটি করে ফেসমাস্ক লাগায় সে। যার কারণেই এমন পরিবর্তন।এদিকে, নায়িকা কিংবা বড় কোনো তারকা নন নাইসা। কিন্তু তা স্বত্বেও নাকি অটোগ্রাফ দিতে হয় এই তারকা সন্তানকে।

মুম্বইয়ের ধীরুভাই অম্বানী স্কুলে পড়াশোনা করেন নাইসা। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি সিঙ্গাপুরের ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ায় ভর্তি হন।
ইতিমধ্যে সেখানে নিজের আলাদা একটি জগৎ তৈরি করে ফেলেছেন। ইনস্টাগ্রামের পাতায় চোখ রাখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে।

গদ বছরের এপ্রিল মাসে ১৯ বছর বয়সে পা দিয়েছন নায়দইসা। বড় পর্দায় কবে তাঁকে দেখা যাবে তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই।

তবে নাইসা যে খুব জলদি বলিউডে পা রাখবেন এমনটা আভাস পাওয়া গেলেও তাঁর বাবা-মা এই বিষয়ে কেউ-ই স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি।
  
নাইসা খোলামেলা স্বভাবের। রূপচর্চার চেয়ে জীবনচর্যার দিকেই বেশি নজর তাঁর। পড়াশোনার ফাঁকে কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে ইনস্টাগ্রামের পাতায়। কখনও বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রেস্তরাঁয় বসে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।

নারী বলে জীবনযাত্রা কিংবা গতিবিধি নিয়মে বেঁধে ফেলতে হবে, এমনটা একেবারেই মনে করেন না বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই তারকা-সন্তান।

প্রথম দিকে নাইসা নেটিজেনদের খারাপ ব্যবহারে দুঃখ পেলেও এখন তিনি নিন্দুকদের গুঞ্জনকে পাত্তা দেন না।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে সবার নিষেধ অমান্য করে কাজল বিয়ে করেন অজয় দেবগনকে। ২০০৩ সালে নাইসার জন্মের পর ২০১০ সালে পৃথিবীতে আসে অজয়-কাজলের ছোট ছেলে যুগ।

সফল ক্যারিয়ার ফেলে সে সময় এ তারকা দম্পতি  ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেয়ে নিসা আর ছেলে যুগকে নিয়ে।