বিনোদন

মন্দিরা অভিনীত নীলচক্র’র আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
মন্দিরা অভিনীত নীলচক্র’র আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তীর দ্বিতীয় সিনেমা ‘নীলচক্র’ আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রিমিয়ার করে দর্শকদের মন জয় করেছে। প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’ দিয়ে অভিষেকেই সাড়া ফেলে দেওয়া মন্দিরা এবার হাজির হয়েছেন নতুন গল্প নিয়ে। পরিচালক মিঠু খানের এই সিনেমায় তার সহ-অভিনেতা আরিফিন শুভ।
সম্প্রতি লাস ভেগাসে আমেরিকান ফিল্ম মার্কেটে অনুষ্ঠিত হয় ‘নীলচক্র’র আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার। এই অনুষ্ঠানে সিনেমার কলাকুশলীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় দর্শক এবং আন্তর্জাতিক ফিল্ম ক্রিটিকরা। মন্দিরা এই সিনেমার সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, “প্রথম সিনেমা দিয়ে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘নীলচক্র’র প্রশংসা শুনে প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে। আমি দর্শকের প্রতিক্রিয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
‘নীলচক্র’ প্রযুক্তি এবং সমাজের অন্ধকার দিকের গল্প নিয়ে নির্মিত। বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে প্রযুক্তির জালে আটকা পড়ে, সেই ফাঁদের পরিণতি নিয়ে সিনেমাটি বিশেষ বার্তা দেয়। আধুনিক প্রযুক্তি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেশায় আসক্ত তরুণদের জীবনে কীভাবে বিভিন্ন বিপদ ও প্রতারণা আসে, তা সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে।
সিনেমার মূল গল্পে দেখানো হয়, প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে অপরাধীরা কীভাবে ফাঁদ তৈরি করে এবং সেই ফাঁদে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম কীভাবে জড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি গল্পে মানবিক সম্পর্ক, সঠিক-ভুলের দ্বন্দ্ব এবং জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার আকুতি অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
লাস ভেগাসের প্রিমিয়ারে সিনেমাটি প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে। সমসাময়িক বিষয়বস্তু, নিখুঁত অভিনয়, এবং চমৎকার পরিচালনা সিনেমাটিকে বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছে। ‘নীলচক্র’র মাধ্যমে পরিচালক মিঠু খান প্রযুক্তি-নির্ভর এই সময়ের একটি কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, যা আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছেও প্রাসঙ্গিক।
প্রথম সিনেমার সাফল্যের পর মন্দিরা চক্রবর্তীর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, দর্শক ‘নীলচক্র’র গল্পে নিজেদের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাবেন। গল্পের বিষয়বস্তু একদিকে যেমন শিক্ষণীয়, তেমনি বিনোদনের দিক থেকেও এটি সবার ভালো লাগবে।”
‘নীলচক্র’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি প্রযুক্তির প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা এবং এর নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে গভীর ভাবনার আহ্বান। মন্দিরার অভিনয় ও মিঠু খানের দক্ষ পরিচালনায় এই সিনেমা দর্শকদের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।