তরুণ ও জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে আবারও দেরিতে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক রেহাম খান। সম্প্রতি এক পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে রেহাম তার পূর্ববর্তী মন্তব্যের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেন।
রেহাম খান বলেন, একজন নারীর প্রথমে তার ক্যারিয়ারে স্থিতিশীল হওয়া উচিত। তারপর বিয়ে নিয়ে চিন্তা করা প্রাসঙ্গিক হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, বিয়ে শুধুমাত্র সামাজিক চাপে পড়ে বা জৈবিক সময়সীমার কথা ভেবে নেওয়া উচিত নয়। এটি একটি পছন্দ হওয়া উচিত, প্রয়োজন নয়।
২০১৬ সালেও রেহাম খান একই পরামর্শ দিয়েছিলেন হানিয়া আমিরকে। তখন তিনি বলেছিলেন, বিয়ের আগে আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যক্তিগত উন্নতির গুরুত্ব অনেক বেশি। রেহাম বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, একজন মানুষ তখনই বিয়ে করা উচিত, যখন সে মনে করে, ‘আমি এখন জীবনে একটি স্থানে পৌঁছেছি এবং এখন একজন সঙ্গীর প্রয়োজন’।’’
তিনি আরও যোগ করেন, নারীরা প্রায়ই ২০ বা ৩০-এর দশকে সামাজিক প্রত্যাশা ও জৈবিক সময়সীমার চাপে পড়ে বিয়ে করেন। তবে বিয়ে সবসময় প্রত্যাশিত স্বাধীনতা নিয়ে আসে না। বরং এটি অনেক ক্ষেত্রে উল্টো চাপ ও দায়িত্ব বাড়ায়।
রেহাম খান নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের মানসিক ও আর্থিক স্বাবলম্বীতা অর্জন করা উচিত। অনেক নারী মনে করেন, বিয়ের পর তারা স্বাধীনতা পাবেন। কিন্তু এই ধারণা সবসময় সঠিক নয়। তিনি বলেন, “আমি বিয়ের মতো সামাজিক বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার বিপক্ষে নই। তবে এটি সবার জন্য উপযুক্ত নয়। আপনাকে প্রথমে নিজের জন্য একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে, তারপর ইচ্ছা হলে সঙ্গীর কথা ভাবুন।’’
রেহাম এই একই পরামর্শ তার মেয়েদেরও দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, তরুণ নারীদের তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা জীবনের অনেক কিছু নির্ধারণ করে। তাই এটি তাড়াহুড়ো করে বা সামাজিক চাপে পড়ে নেওয়া উচিত নয়।
পডকাস্টে রেহাম খান ভারতীয় র্যাপার বাদশার সঙ্গে হানিয়া আমিরের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, তাদের সম্পর্ক একেবারেই প্লাটোনিক। যদিও বাদশা তাদের সম্পর্ককে একটি “অসাধারণ সংযোগ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তবে এটিকে বন্ধুত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে দাবি করেন।
রেহাম বলেন, সমাজ নারীদের দ্রুত বিয়ের জন্য প্রায়ই চাপ দেয়। কিন্তু বিয়ে সবসময় সুখের প্রতীক নয়। বরং এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত, যা জীবনে স্থিতিশীলতার পরে নেওয়া উচিত।