বিনোদন

জিপিএ-৫ পাওয়ায় তিশাকে ‘অভিনন্দন হুররাম’ বললেন মুশতাক

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
জিপিএ-৫ পাওয়ায় তিশাকে ‘অভিনন্দন হুররাম’ বললেন মুশতাক
সোশ্যাল মিডিয়ায় অসম বয়সে বিয়ের কারণে আলোচিত-সমালোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা আবারও খবরের শিরোনামে এসেছেন। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় তিশা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত ফলাফলে তিশার সাফল্য নিয়ে মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি তিশাকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে ভালোবেসে ‘হুররাম’ বলে উল্লেখ করেন।
ভিডিওতে মুশতাক বলেন, “আমার হুররামকে অভিনন্দন। আজকে এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে এবং আমাদের জীবনের অনেক চড়াই উতরাইয়ের পরেও তিশা বরাবরই ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। তাই আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাকে অভিনন্দন।” মুশতাকের এই মন্তব্য ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিশার সাফল্যের খবরটি আলোচিত হয়।
ভিডিওর শেষে তিশা নিজেও তার অনুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, “রেজাল্টের মেসেজ দেখে প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরীক্ষার আগে শেষ দুই মাস অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি। এটা যদিও নতুন কিছু নয়; আমার কাছে মনে হয়েছে, হ্যাঁ আমিতো এটাই পাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, অনেক ধন্যবাদ।” তিশার আত্মবিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য এসেছে, যা তার জীবন যাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ছিলেন মুশতাক আহমেদ। সে সময় কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন তিশা। শিক্ষাজীবনের শুরুতে মুশতাকের সঙ্গে তিশার পরিচয় ঘটে এবং ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের পরিণতি আসে বিয়ের মাধ্যমে, যা তিশার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। তিশার বাবা সাইফুল মুশতাকের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। তবে সামাজিক বাধা এবং পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তারা তাদের সম্পর্ক বজায় রাখেন।
তাদের বিয়ের খবর যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সমালোচনার ঝড় ওঠে। খন্দকার মুশতাক আহমেদের বয়স ষাটোর্ধ্ব এবং তিশা ছিলেন কলেজের শিক্ষার্থী, তাই এই অসম বয়সের বিয়ে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ এই সম্পর্ককে সমর্থন করেন, আবার অনেকেই তা সমালোচনা করে। বিশেষ করে বয়সের পার্থক্য এবং তিশার শিক্ষাজীবনের সূচনা সময়ে এই বিয়ে হওয়ায় সমালোচনার মাত্রা আরও বাড়ে।
মুশতাক আহমেদ তিশার প্রতি তার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটান বিভিন্ন উপায়ে। এ বছরের বইমেলায় মুশতাক তিশাকে নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশ করেন। বইটি প্রকাশের পর তাদের সম্পর্ক এবং বিয়ের খবর আরও বেশি প্রচার পায়। তাদের সম্পর্কের গল্প অনেকের কাছে কৌতূহল জাগায়, আবার অনেকের কাছে নিন্দার বিষয় হয়ে ওঠে।
তিশার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি তার শিক্ষাজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত তাদের ব্যক্তিগত জীবন বারবার খবরের শিরোনাম হয়, তবে তিশার সাফল্য তার প্রতিভা ও অধ্যবসায়ের পরিচয় দেয়। যদিও অসম বয়সের এই সম্পর্ক সমাজের কিছু অংশে বিতর্কিত, তিশা ও মুশতাক তাদের সম্পর্ককে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে চলেছেন। তিশার শিক্ষাজীবনের এই অর্জন তাদের সম্পর্কের বাইরে তার ব্যক্তিগত সাফল্য হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
তিশার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির পর মুশতাকের অভিনন্দন বার্তা তাদের সম্পর্কের গভীরতা ও পারস্পরিক সমর্থনের পরিচায়ক। সম্পর্কের নানা প্রতিকূলতার পরও তারা একে অপরকে ভালোবাসা ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন, যা এই দম্পতির জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।