আসন্ন রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, চাল, গম, চিনি, ডাল, খেজুরসহ রোজার সময় জনপ্রিয় এসব পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এফপিএমসি (খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি) সভায় রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ বজায় রাখতে সরকারের নানা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা জানান, নিত্যপণ্যের আমদানির অনুমোদন ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত পণ্যগুলো দেশে পৌঁছায়। এ বছরের রমজানে যেন পণ্যের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে, সে জন্য সরকার বাজার মনিটরিং জোরদার করবে। ছোলা, ডাল, তেল, চিনি এবং খেজুরের মতো জনপ্রিয় পণ্যগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও আমদানির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে আমদানিকারকদের দ্রুত পণ্য আমদানির সুযোগ করে দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চাল, গমের মতো প্রধান খাদ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনের চেয়ে সামান্য বেশি আমদানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেন বাজারে সংকট দেখা না দেয়।
চাল এবং ধানের দাম সম্পর্কে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকার যুক্তিসঙ্গত মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে যাতে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ বজায় থাকে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে অতিরিক্ত মূল্য আদায় না হয়, সে জন্য কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে ভোক্তা ও কৃষকদের সুরক্ষার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মোটের ওপর, এই বছর রমজানে পণ্যের প্রাপ্যতা ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সক্রিয়। সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনার মাধ্যমে ভোক্তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।