ঢাকার পুরানা পল্টনে বাউল সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর পুরানা পল্টন কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনার শিকার যুবকের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ শেষে ফেরার পথে কিছু লোক ওই যুবককে বাউল সন্দেহে আটক করে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত যুবককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
এর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সমাবেশ করে। আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের শাস্তির দাবি জানানো হয় সমাবেশে। সংগঠনের ঢাকা মহানগরী শাখার নেতা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা শফিউল ইসলাম ও মজিবুর রহমান বক্তব্য দেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশে বিভিন্ন সময় আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা হলেও প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেয় না। তারা বলেন, “বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। এখানে আল্লাহ ও রাসুলকে নিয়ে কটূক্তি হলে মুসলমানরা চুপ থাকবে না।
আরও বলা হয়, একজন ফাইভ পাস ব্যক্তি কীভাবে কোরআনের তাফসির করার সাহস দেখায়? আবুল সরকারের বক্তব্যের পর তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুরানা পল্টনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।