অনলাইন ব্যবসার আড়ালে ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নেটদুনিয়ার তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া সানভিস বাই তনি বিরুদ্ধে। ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাকিস্তানি কাপড়ের পোশাকের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে দেশি কাপড়ের পোশাক’ এমন অভিযোগ তুলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন একজন ভোক্তা।অভিযানে পণ্য আমদানির কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন বিক্রেতা।
মূলত দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করার বিষয়ে ভোক্তার অভিযোগের পর শুনানি শেষে প্রতিষ্ঠানটির শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল গুলশান শ্যুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল অভিযান পরিচালনা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে বেশ কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। বিভিন্ন সময় আলোচনায় আসেন তিনি তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে।
ভোক্তা অধিকার অধিদফতর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এ আউটলেটে।তৈরি পোশাকের মধ্যে রয়েছে গুলিস্তান, মিরপুর, সাভার ও টঙ্গী এলাকার মালামাল।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল আরো বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, কিন্তু ডেলিভারি দেয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে। প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। যেহেতু তারা উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা থাকতে পারে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে। শুনানির জন্য মঙ্গলবার আবার ডাকা হয়েছে। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শোরুমটি বন্ধ থাকবে।’