মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিমালায় এখন থেকে আবেদনকারীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের নাম ও তথ্য জমা দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বলছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা এবং সম্ভাব্য সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধ।
তবে সমালোচকরা এই নিয়মকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার চরম লঙ্ঘন বলে দাবি করছেন। বিশেষ করে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য এটি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরব নিউজ ও টোকিও উইকেন্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবেদনকারীদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই নীতির বিরোধিতা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশগুলোরও অনুসরণযোগ্য নজির হয়ে উঠতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতা ও গোপনীয়তাকে আরো সংকুচিত করে তুলবে।
সবমিলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নিয়ম জাতীয় নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার—উভয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষার জটিল প্রশ্ন তুলছে।