নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথমে বিশ্বাস নাও হতে পারে। যেখানে পা রাখছেন, সেখানেই প্রতিচ্ছবি। বিশ্বাস হোক বা না হোক, নিজেকে মনে হবে স্বপ্নময় এক নতুন রাজ্যের বাসিন্দা। জায়গাটি দেখে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে,কোথায় আছি আমি? স্বপ্নে নাকি বাস্তবে?
বলছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়নার দেশ দক্ষিণ বলিভিয়ার সালার ডি ইউনির কথা। এটি দেশটির শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। একে অনেকে ইউনি সল্ট ফ্ল্যাট নামেও ডাকেন। রৌদ্রের খরতাপে এই রূপ সেভাবে চোখে না পড়লেও সামান্য বৃষ্টিপাতে চোখের সামনে দৃশ্যমান হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না।
কিভাবে এই আয়নার উৎপত্তি?
ঐতিহাসিক হ্রদ মিনচিন শুকিয়ে যাওয়ার সময় অবশিষ্ট দুইটি লবণ স্তরের মধ্যে সালার ডি ইউনি ছিল সবচেয়ে বৃহৎ। শুধু তাই নয়, ১০৫৮২ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই হৃদটি বিশ্বের বৃহত্তম লবণের সমতল হিসেবেও পরিচিত। অণুজীবসহ জীবন্ত একটি সবুজ হ্রদ, পরিত্যক্ত রেলপথ ট্র্যাক, শুকনো শিলা থেকে অঙ্কুরিত এলিয়েনের মতো সবুজের বিশাল ব্লবস, গরম গিজার ল্যান্ডস্কেপ, প্রাকৃতিক হট স্প্রিংস, পরাবাস্তব শিলাসহ আরও অনেক কিছুর দেখা মিলবে এই জায়গায় এলে। তাই ইচ্ছা আর অর্থ যোগানের সামর্থ্য থাকলেই ঘুরে আসা যেতে পারে স্বপ্নের এই দেশ থেকে।
কখন গেলে উপভোগ করা যাবে এই সৌন্দর্য?
যে কারও মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, সব সময়ই কি এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে? একবাক্যের উত্তর, না। শুধুমাত্র বৃষ্টির সম্ভাবনাপূর্ণ আবহাওয়াতেই ভ্রমণ করা হবে উত্তম ও বুদ্ধিমানের কাজ।
কিভাবে যাবেন?
সালার ডি ইউনিতে যাওয়া মোটামুটি সহজ। প্রথমে বলিভিয়ায় গিয়ে সেখান থেকে অরুরো এবং ভিলাজোনের মতো কাছাকাছি শহরে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে হবে। আবার লা পাজ থেকে সড়কপথে বাসযোগেও যেতে পারেন স্বপ্নের এই জায়গায়। আর যদি আপনি দেশটিতে নতুন হয়ে থাকেন কিংবা ঝামেলামুক্ত ট্যুর নিশ্চিত করতে চান, তবে বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের সাহায্যে ঘুরে দেখতে পারেন গোটা সালার ডি ইউনি। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের খাবার এবং জল সঞ্চয় করে নিয়ে যেতে ভুলবেন না কিন্তু।