তথ্যপ্রযুক্তি

আইফোনে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকে কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩
আইফোনে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকে কেন?
স্মার্টফোনের জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছে আইফোন। অত্যাধুনিক ক্যামেরা সিস্টেমের কারণে আই ফোনের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি।আইফোন ১৩ প্রো সিরিজের ক্যামেরার ম্যাক্রো মোড চোখের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মজার ব্যাপার হলো আইফোনের সব ক্যামেরায় ১২ মোগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হলেও বাজারে রয়েছে ৬৮ কিংবা ১০৮ মেগাপিক্সিলের জায়ান্ট সব ক্যামেরা স্মার্টফোন।কিন্তু প্রশ্ন হলো আইফোনে এখনো সেই ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকে কেন?

এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। স্মার্টফোনের ক্যামেরার সেন্সরের জন্য ১২ মেগাপিক্সেলই আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। আইফোন লেটেস্ট জেনেরাশনের ফোনগুলো খুব কম আলোতেও পরিষ্কার ছবি তুলতে সক্ষম। ক্যামেরায় মেগাপিক্সেল যত বেশি থাকবে, স্মার্টফোনকেও তত বেশি ডেটা প্রসেস করতে হবে। এতে ফোন ধীরগতির হয়ে যায়, ব্যাটারির আয়ুও শেষ হয়ে যায় খুব দ্রুত। 

আর নাইট মোড কিংবা পোর্ট্রেট মোডে তোলা ছবি প্রসেস করতে আরও বেশি সময় লাগে। বেশি মেগাপিক্সেলের ছবি বেশি রেজল্যুশনের হয়। এতে ছবির ফাইলের আকার বেড়ে যায় মেমোরিও দখল করবে বেশি। ফেসবুকে আপলোড কিংবা ই-মেইল পাঠাতেও সময় বেশি লাগবে। তাছাড়া বাজারে থাকা অন্য সব মোবাইল দিয়ে আমরা যত বেশি মেগাপিক্সেলেই ছবি ধারণ করি না কেন, তা দেখার সুযোগ আমাদের খুব কমই হয়।

মজার ব্যাপার হলো একটি অত্যাধুনিক আলট্রা এইচডি রেজল্যুশনের টিভি দিয়েও বড়জোর ৮ দশমিক ৩ মেগাপিক্সেলের ছবি বা ভিডিও দেখা যায়। অথাৎ আলট্রা এইচডির মতো হাইকোয়ালিটির ভিডিও ধারণ করার জন্য ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা প্রয়োজনের চেয়েও বেশি। তাছাড়া 4k বা 8k ভিডিও দেখার মতো ডিসপ্লে এখনো সহজলভ্য হয়নি বাজারে। আর 8k রেজল্যুশনে ভিডিও ধারণ করলে স্টোরেজের বড় সংকট দেখা দেবে।

স্মার্টফোনে যখন আরও শক্তিশালী প্রসেসর, বেশি স্টোরেজ আসবে, তখন ৪০ মেগাপিক্সেলের বেশি ক্যামেরার স্মার্টফোন দরকার হতে পারে। এখন সেই মানের ছবি বা ভিডিও দেখার সুযোগ নেই। আর সে কারণে আইফোনে এখনও ১২ মেগাফিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ভালো ছবি কিংবা ভিডিও ধারণ করার জন্য ক্যামেরার রেজল্যুশনই সব নয়।

২০১৫ সালে বাজারে আসা আইফোন 6S এ প্রথম ১২ মেগাপিক্সেল সেন্সরের ক্যামেরা যুক্ত হয়। এখনও তা-ই আছে। কিন্তু আইফোন ৬এসের সঙ্গে আইফোন ১৩ প্রোর ক্যামেরায় তোলা ছবি তুলনা করলে রাত-দিন তফাত পাওয়া যাবে। গুগল কিংবা অ্যাপল যেকোনো প্রতিষ্ঠানের তৈরি স্মার্টফোনে তোলা ছবির চূড়ান্ত মান নির্ভর করে ইমেজ প্রসেসিং সফটওয়্যারের ওপর।

মোবাইলের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার যত বেশি উন্নত হবে ক্যামেরায় তোলা ছবি তত বেশি বাস্তব আর সুন্দর হবে। আর এই জায়গাইতেই সবার ছেয়ে এগিয়ে রয়েছে আইফোন। যে কারণে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি থেকে ভালো হয়। 
আইফোনের নতুন সুবিধাগুলোর একটি ক্যামেরায় ম্যাক্রো মোডের সংযোজন।

১২ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপের সঙ্গে থাকছে সেন্সর শিফট অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন প্রযুক্তি।

আর এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কোনো বস্তুর ফোকাস ঠিক রেখে খুব কাছ থেকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যায়।

বাজারে আসা আইফোন ১৪ এ 'পোরট্রেট মোড'-এ ভিডিও করা যাবে। যাতে আছে 'ডেপথ অব ফিল্ড' ইফেক্ট আর সিনেমাটিক মোড। 

যার কারণে ছবি ও ভিডিও কোয়ালিটি আগের চেয়ে বেড়েছে বহু গুণ।

Source: