রাফিনহা দিয়াস বেলোলি—নামটি এখন বার্সেলোনার গ্যালারিতে গর্বের প্রতীক। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তিনি আসলে ফুটবলার নাকি ক্রিকেটার? এমন কটাক্ষের কারণ একটাই—২০২৪-২৫ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও ব্যালন ডি’অরের ফাইনাল র্যাংকিংয়ে জায়গা হয়নি ব্রাজিলিয়ান এই তারকার।
পুরো মৌসুমে রাফিনহার অবদান ছিল রেকর্ড গড়া। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৩৪ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট। লা লিগায় ৩৬ ম্যাচে ১৮ গোল ও ১১ অ্যাসিস্ট করে শীর্ষ সারিতে জায়গা করে নেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ছিলেন সমান উজ্জ্বল—১৩ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট দিয়ে ইউরোপের মঞ্চ মাতান। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর এক মৌসুমে সর্বাধিক গোল অবদানের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, নেইমারের রেকর্ড ভেঙে এক মৌসুমে বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬৪ গোল অবদান রাখেন এই উইঙ্গার। গোল ও অ্যাসিস্টের বাইরেও নেতৃত্বগুণে নজর কেড়েছেন রাফিনহা। হানসি ফ্লিকের অধীনে মাঠে ছিলেন দলের অন্যতম ভরসা। তবুও ব্যালন ডি’অরের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ডেম্বেলে, ইয়ামাল, এমবাপ্পে, পেদ্রি ও সালাহ, কিন্তু বাদ পড়েছেন রাফিনহা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সমর্থকরা।
সমালোচকরা বলছেন, ব্যালন ডি’অরের সিদ্ধান্ত মানদণ্ড নিয়েই প্রশ্ন তোলে। ব্রাজিলিয়ানদের প্রতি এই অবিচার নতুন কিছু নয়। গত মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরও ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে উপেক্ষা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল স্পেনের রোদ্রিকে। এবার রাফিনহার নাম বাদ পড়ায় আবারও দেখা দিচ্ছে সেই একই বিতর্ক। ফুটবল প্রেমীদের ভাষায়—যদি রাফিনহার মতো রেকর্ড গড়া পারফর্মারও স্বীকৃতি না পান, তবে ব্যালন ডি’অর আর কতটা ন্যায্য?