ক্রিকেট

মুস্তাফিজরা খেলো বেদম মার

Staff Reporter

Staff Reporter

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
মুস্তাফিজরা খেলো বেদম মার
চলতি আইপিএলে ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরমে হারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। তার ওপর ২১০ রানের বড় পুঁজি! আইপিএলের ১৬ বছরের ইতিহাসে এই মাঠে এত বড় রান তাড়া করে জেতার নজির নেই। 

অস্ট্রেলীয় এই ব্যাটারের ৬৩ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৩ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এ নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে চেন্নাইকে হারাল কেএল রাহুলের দল।

অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। আইপিএলে শতরান করে ম্যাচ জিতিয়ে জানিয়ে দিলেন, চুক্তিতে না থাকলেও দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে চান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে তিনি বলেন, ‘কোচের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। চুক্তিতে আমার যে নাম ওঠেনি, বেশ কিছু দিন আগেই জেনেছি।’

আরও যোগ করেন, ‘চুক্তি থাকবে চুক্তির জায়গায়। সেটা না থাকলে কি দেশের হয়ে খেলা যাবে না? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। আশা করি, চুক্তি না থাকায় বিশ্বকাপ খেলতে কোনও সমস্যা হবে না।’

প্রথম বল থেকেই বড় শট নিতে চাননি স্টয়নিস। তিনি প্রথমে পিচে থিতু হয়েছেন, তারপরে শুরু করেছেন শট নেওয়া। বলছিলেন, ‘শুরু থেকেই বড় শট নিতে গেলে এই ম্যাচ বার করা সম্ভব হত না। পুরান আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। যে বোলারের বিপক্ষে আমি রান বের করতে পারছিলাম না, ও করে দিচ্ছিল, হুদাও ভালো ইনিংস খেলেছে। এটা সম্মিলিত প্রয়াসে জয়। আমি একা এই ম্যাচ জেতাইনি।’

‘আমি খুশি যে আর বোলিং করতে হচ্ছে না’, আইপিএল নিয়ে স্টেইন
আইপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচেই বড় রান করতে দেখা যাচ্ছে দলগুলোকে। ২০০ রানও এখন আর নিরাপদ নয়। স্টয়নিস মনে করেন, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মই বড় রানের মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে। অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার বলছেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকা মানে যে কোনো দল একজন অতিরিক্ত ব্যাটার অথবা বোলার খেলাতে পারে। মোট ১২ জনের খেলা। এই নিয়মই এত রান উঠতে সাহায্য করছে।’

আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপে মনে হয় না এত রান উঠবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ মন্থর হয়। বল ব্যাটে বেশি আসে না। আইপিএলের পিচ অন্য রকম হয়। দর্শকদের বিনোদনের জন্য এত ভাল পিচ তৈরি করা হয়। কিন্তু বিশ্বকাপে এই রকম পিচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’