সড়ক দুর্ঘটনায় লিভারপুল ও পর্তুগালের তারকা ডিওগো জোতার মৃত্যুর খবর স্তব্ধ করে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন অসংখ্য ফুটবল তারকা, যার মধ্যে ছিলেন লিওনেল মেসিও। তবে মেসির ইনস্টাগ্রাম স্টোরির ছোট্ট একটি বার্তা “Q.E.P.D.” (যার অর্থ 'Rest In Peace') ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই মনে করছেন, এত সংক্ষিপ্ত বার্তা একজন কিংবদন্তির কাছ থেকে প্রাপ্য ছিল না।
কিন্তু এই বিতর্কের মাঝে আবারও সামনে উঠে আসছে একটি পুরনো ঘটনা, যা দেখিয়ে দেয় মেসি ও রোনালদোর মধ্যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক কতটা গভীর।
২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি, আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার এমিলিয়ানো সালা ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল তার নতুন ক্লাব কার্ডিফ সিটিতে যোগ দেওয়া। কিন্তু ভাগ্য ছিল নির্মম—ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মাঝামাঝি ইংলিশ চ্যানেলে তার বিমান ভেঙে পড়ে। সালার নিখোঁজ থাকার খবরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ফুটবল দুনিয়া।
তবে সেই সময়েই ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ২২ জানুয়ারি, যখন সালার মরদেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখনই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পোস্ট করেন নিজের ব্যক্তিগত বিমানে বসে তোলা এক হাস্যোজ্জ্বল সেলফি। চারদিকে যখন শোকের ছায়া, রোনালদোর এমন পোস্টে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান ফুটবলপ্রেমীরা।
ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার গ্যারি লিনেকার লিখেছিলেন, “এটা এমন একটা দিন নয়, যেদিন এই পোস্টটি করা যায়।” অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন রোনালদোর মানসিক স্থিতি নিয়েও।
আজ, ২০২৫ সালে আবারও ফুটবল হারালো এক ২৮ বছর বয়সী তারকাকে। সালার বয়স ছিল ২৮, জোতারও। কাকতালীয় হলেও হৃদয়বিদারক। আর সেই ক্ষণের মাঝেই মেসির স্টোরি নিয়ে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিন্তু আমরা যেন ভুলে না যাই—মেসি অন্তত একবাক্যে হলেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি তার মতো করে জানিয়েছেন দুঃখ। অথচ রোনালদোর মত কেউ কেউ এমন মুহূর্তে পর্যন্ত নিজেকে কেন্দ্র করেই থেকে যান। কিংবা তার কাণ্ডে হাসিঠাট্টা প্রকাশিত হয়।