প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজ এবং লিটন কুমার দাসের দৃঢ়তায় কিছুটা রক্ষা পেল দলটি। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম সংকটে পড়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু মিরাজ-লিটনের ব্যাটিংয়ে সেই বিপর্যয় থেকে কিছুটা হলেও উত্তরণ ঘটে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেশনে ৭৫ রান সংগ্রহ করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল।
মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে, যেখানে লিটন কুমার দাসের সংগ্রহ ১৩। দুজনের ৪৯ রানের এই গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠে। মিরাজ কিছুটা আক্রমণাত্মক খেললেও লিটন সাবধানী ছিলেন।
এর আগে, পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়, যা তৃতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। খুররাম শেহজাদ এবং মীর হামজার যৌথ নৈপুণ্যে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে।
জাকির হাসান, মাত্র ১ রান করে আউট হন খুররামের বলে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর সাদমান ইসলাম, যিনি ইনসুইং ডেলিভারিতে খুররামের শিকার হন, মাত্র ১০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হকও দ্রুত আউট হন, যা দলের চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়।
সবচেয়ে হতাশাজনক আউটটি ছিল মুমিনুলের, যিনি ৩০ গজের ভেতরে মোহাম্মদ আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১ রানে মাঠ ছাড়েন। আগের ম্যাচে ১৯১ রান করা মুশফিকুর রহিমও এই ইনিংসে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২ রানে আউট হন। সাকিব আল হাসানও তেমন লড়াই করতে পারেননি, ২ রানে এলবিডব্লিউ হন খুররামের বলে।
মিরাজ-লিটনের এই জুটির ফলে বাংলাদেশ এখনও পাকিস্তানের থেকে ১৯৯ রানে পিছিয়ে আছে।