আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী আসন সমঝোতা নিয়ে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। এখনো সমঝোতা চূড়ান্ত না হলেও দলটি সমমনা সাতটি অন্যান্য দলের সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল সাজাচ্ছে। এ পর্যায়ে ‘এক আসনে এক প্রার্থী’ নীতির ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালানো হচ্ছে, যা প্রার্থী মনোনয়ন বা আসন ছাড়ের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, সমমনা আট দলের মধ্যে ইতিমধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। তবে অন্য কয়েকটি দলকে নির্বাচনী সমঝোতায় পাশে আনার চেষ্টা চলছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এই সমঝোতা চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। শফিকুর রহমান, জামায়াতের আমির, বলেছেন, আমরা প্রচলিত কোনো জোট করব না। তবে বিভিন্ন দল ও শক্তির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হবে।
এছাড়া, দলটি প্রশাসনিক রদবদলের বিষয়েও নজর রাখছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার পর লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনে কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের ব্যবস্থা করা হোক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি দলের ভোট ভিত্তি শক্ত করার পাশাপাশি সরকারের ওপর চাপ তৈরির একটি কৌশল।
জামায়াতসহ সমমনা আট দল আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী সমঝোতার মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। ঢাকা, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে দলগুলোর সমাবেশ এবং কর্মসূচি শুরু হবে নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।