রাজনীতি

ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের মধ্যে ৭ নারী জয়ী

শামসুল আলম (নিজস্ব প্রতিবেদক)

শামসুল আলম (নিজস্ব প্রতিবেদক)

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের মধ্যে ৭ নারী জয়ী
 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে ৭ জন নারী শিক্ষার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে সম্পাদকীয় ১২টি পদের মধ্যে ৩টিতে এবং সদস্যের ১৩টি পদের মধ্যে ৪টিতে জয়ী হয়েছেন তারা।

 ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন। ভোটগ্রহণের হার দাঁড়ায় ৭৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। নারী ভোট দিয়েছেন ১২ হাজার ৪৫৩ জন।

 ভোট গ্রহণ হয়েছে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।
 ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে জয় পেয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল—ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
 সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—শীর্ষ এই তিন পদেই জয়ী হয়েছে শিবিরপন্থী প্রার্থীরা। যদিও এই পদগুলোতে নারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কেউ জয়ী হতে পারেননি।
 
- গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি ১১ হাজার ৭৭৮ ভোটে জয়ী হন।
- মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে শিবির প্যানেলের ফাতেমা তাসনিম জুমা পান ১০ হাজার ৬৩১ ভোট।
- কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে শিবির প্যানেলের উম্মে ছালমা পান ৯ হাজার ৯২০ ভোট।

সদস্য পদে জয়ী চার নারী হলেন—
  • শিবির প্যানেলের সাবিকুন নাহার তামান্না (১০ হাজার ৮৪ ভোট)
  • শিবির প্যানেলের মোছা. আফসানা আক্তার (৫ হাজার ৭৪৭ ভোট)
  • প্রতিরোধ পর্ষদের হেমা চাকমা (৪ হাজার ৯০৮ ভোট)
  • স্বতন্ত্র প্রার্থী উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া (৪ হাজার ২০৯ ভোট)
 এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী ছিলেন ৬২ জন, যা মোট প্রার্থীর ১৩ শতাংশ। সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থী ছিলেন ১৮ জন (৩.৮২ শতাংশ)। তাঁদের মধ্যে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। 

 জয়ী হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, তিনি ভোটারদের আস্থার মর্যাদা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
 অন্যদিকে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী হেমা চাকমা অভিযোগ করেন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে অপপ্রচার ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন তিনি।