সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বিমানবন্দর থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, "চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা সংবিধান ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচন করছে। এ ঘটনা শুধু বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের উপর আঘাত নয়, এটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলমান বৈষম্য ও নির্যাতনের ধারাবাহিকতারই প্রতিফলন।"
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আরও উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর, হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনা দেশের শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি, বরং নির্যাতনের শিকারদেরকেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংগঠনের দাবি, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পত্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরও বলেন, "এ দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠেছে, যেখানে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সমান অধিকার থাকবে। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও বৈষম্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদদলিত করছে।"
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা জানান, সম্প্রতি রংপুরে সনাতনী সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা ও গুরুতর আহত করা হয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো মামলা বা গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি। এর মাধ্যমে দেশের আইনের শাসনের চরম ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে যে, যদি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তি এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা না হয়, তবে সারাদেশে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।