স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে তার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যু নিয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি জানান, তার বাবা আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, যিনি স্থানীয় এক ঠিকাদারের অনুরোধে জেলা পর্যায়ের একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেছিলেন। তবে উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদের বর্তমান দায়িত্বের সঙ্গে তার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স সরাসরি স্বার্থের সংঘাতের (Conflict of Interest) আশঙ্কা তৈরি করে।
ঘটনার প্রকাশের পর, আসিফ মাহমুদ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেন এবং বাবাকে বিষয়টি বোঝান। পরে বাবার আবেদনক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়। তিনি স্পষ্ট করে জানান, এই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো সরকারি কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি এবং কোনো আর্থিক লাভও অর্জিত হয়নি। পুরো ঘটনাটির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিনি লাইসেন্স বাতিলের অফিসিয়াল আদেশপত্রও ফেসবুকে শেয়ার করেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম নেয়, বিশেষ করে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের প্রকাশিত রিপোর্টের পর। আসিফ মাহমুদের এই দ্রুত পদক্ষেপ এবং দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে তিনি স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।