মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন। রোববার বিকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং ডাটাকার্ড অবমুক্ত করা হয়। স্মারক ডাকটিকিটটির মূল্যমান ধরা হয়েছে ১০ টাকা, উদ্বোধনী খামের মূল্য ১০ টাকা এবং ডাটাকার্ডের মূল্য ৫ টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস. এম. শাহাবুদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির আত্মত্যাগ, গৌরব এবং স্বাধীনতার প্রতীক। স্মারক ডাকটিকিট হলো আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং জাতীয় অর্জনকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।”
তিনি আরও বলেন, “ডাকটিকিট শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি একটি জাতির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং গৌরবের প্রতিচ্ছবি। বিজয় দিবসের স্মারক ডাকটিকিট আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এই চেতনা পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম।”
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি স্মারক ডাক বাক্স এবং ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’ শীর্ষক একটি বিশেষ বই উপহার দেন। বইটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বন্যপ্রাণীর প্রতি জাতীয় সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রকাশিত।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, “ডাকটিকিট হলো আমাদের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এই স্মারক ডাকটিকিট আমাদের দেশের সংগ্রাম ও বিজয়ের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করবে।”
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস. এম. শাহাবুদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের ডাক সেবার ইতিহাস দীর্ঘ এবং গৌরবময়। স্মারক ডাকটিকিটের মাধ্যমে আমরা জাতীয় অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখছি এবং এর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা করছি।”
বিজয় দিবসের স্মারক ডাকটিকিট দেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে তুলে ধরার একটি উদ্যোগ। এটি সংগ্রাহকদের জন্যও বিশেষ আকর্ষণীয় একটি বিষয়। একইসঙ্গে উদ্বোধনী খাম এবং ডাটাকার্ড এই ঐতিহাসিক স্মারকগুলোর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিজয় দিবসের স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ দেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে চিরস্মরণীয় করে রাখার একটি উদ্যোগ। এই আয়োজন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ডাক সেবার ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে।