বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়। ঘোষণায় বলা হয়েছে, সংগঠনের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদাধিকারবলে নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
এর আগে সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা চারজন নেতার নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। তারা হলেন: আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এই চার নেতার নেতৃত্বেই নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নতুন ১৮ সদস্যের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন:
- মো. মাহিন সরকার
- রশিদুল ইসলাম রিফাত
- নুসরাত তাবাসসুম
- লুৎফর রহমান
- আহনাফ সাঈদ খান
- তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা)
- তারিকুল ইসলাম
- মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত
- আসাদুল্লাহ আল গালিব
- মোহাম্মদ রাকিব
- সিনথিয়া জাহিন আয়েশা
- আসাদ বিন রনি
- নাইম আবেদীন
- মাহমুদা সুলতানা রিমি
- ইব্রাহিম নিরব
- রাসেল আহমেদ
- রফিকুল ইসলাম আইনী
- মুঈনুল ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রথমে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শুরু হয়। এই আন্দোলন দ্রুত জনসমর্থন লাভ করে এবং ক্রমেই একটি বড় গণআন্দোলনে পরিণত হয়। ৫ আগস্ট এ আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করে।
আন্দোলনের সূচনালগ্নে ৮ জুলাই একটি ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আন্দোলনের প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই টিম ৩ আগস্ট বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
নতুন গঠিত নির্বাহী কমিটি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা এবং কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সংগঠনের সদস্যদের মতে, এই কমিটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্যগুলোকে আরও সুসংহত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে পারবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, নতুন নেতৃত্ব আন্দোলনের সঠিক গতিপথ নিশ্চিত করবে এবং দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে আরও বড় ভূমিকা রাখবে।
নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই কমিটি আন্দোলনের কার্যক্রম পরিচালনা এবং বৈষম্যবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে। মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন,
"আমরা সবার সহযোগিতায় বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"