জাতীয়

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। আজ রোববার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকসদল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অনার গার্ড প্রদান করেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনায় ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। পরে প্রধানমন্ত্রী দলীয়ভাবে নেতাকর্মিদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর‌্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারন সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর ৫ মিনিট পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে অভ্যর্থনা জানান। পরে রাষ্ট্রপতি সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী শিশু সমাবেশে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিমু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী অসচ্ছল, মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনে অংশ নেন।পরে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকাপ চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মান করা হয়েছে তোরণ। নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ- উদ্দীপনা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অতিথিদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব সময় নজর ছিলো। তিনি দু:স্থ শিশু, একেবারে দরিদ্র শিশু, অসহায় অথবা এতিম তাদের পুর্নবাসনের জন্য তিনি শিশু আত্নরক্ষা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

আজকে বিশ্বব্যাপী আমরা দেখি অনেকে শিশু অধিকারের কথা বলে, শিশু শিক্ষার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে আর আমরা দেখে পাশাপাশি একটা দ্বিমুখি কার‌্যক্রম। গাজায় শিশুদের উপর যখন বোমা ফেলা হয় হত্যা করা হয়, হাসপাতালে বোমা ফেলা হয় ফিলিস্তিনিদের উপর যখন আক্রমন করা হয় তখন আমি জানি না এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে। তাদের সেই মানবিকাবোধটা কোথায় থাকে। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধের ভয়বহতা দেখেছি। আমরা সব সময় নির‌্যাতিত মানুষের পাশে আছি। তাই তো আমাদের প্রতিবেশি দেশ মিয়ামারে মানুষের উপর আত্যাচার হলো শিশুরা আহতাবস্থায় তারা যখন আশ্রয় চাইলো আমরা তখন মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আজকে গাজার শিশুদের যে অবস্থা আমরা দেখছি আমি জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয়না। ৯৬ সালে ২১ বছর পরে আমরা সরকার গঠন করে শিশুদের সুরক্ষা দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহন করি। ২০০০ সালে নারী শিশু নির‌্যাতন দমন আইন করে শিশুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করি। ২০১০ সালে জাতীয় শিশু নীতি। আমরা শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা দেয়ার জন্য ২ কিলোমিটারের মধ্যে প্রাইমারি স্কুল করে দিয়েছি। আজকে আমাদের দেশের ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যাই। আমরা কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। স্কুলগুলোতে আমরা কম্পিউটার ল্যাব করে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ছোট বেলা থেকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে শিক্ষা দেয়া উচিত।যাতে করে আজকে যে দূর্ঘটনা ঘটে সেগুলো না ঘটে এজন্য ট্রাফিক আইন ছো্ট্র বেলা থেকে শিশুদের শিখাতে হবে। রাস্তায় নিরাপদে চলতে হলে কিভাবে চলতে হবে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

আজ রোববার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকসদল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অনার গার্ড প্রদান করেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনায় ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।পরে প্রধানমন্ত্রী দলীয়ভাবে নেতাকর্মিদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর‌্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারন সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এরঅাগে সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর ৫ মিনিট পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে অভ্যর্থনা জানান। পরে রাষ্ট্রপতি সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিমু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী অসচ্ছল, মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনে অংশ নিবেন।পরে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকাপ চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মান করা হয়েছে তোরণ। নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ- উদ্দীপনা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অতিথিদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তাও শিখাতে হবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা শিখাতে হবে। যারা প্রতিবন্ধি, অটিস্টিক শিশুদের সাথে কেউ যেন দুর্ব্যবহার না করে। তাদের যেন সবাই আপন করে নেয়। আজকের শিশুরা ডিজিটাল যুগে। কাজেই ডিজিটাল শিক্ষার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেখতে হবে। এই শিশুরাই তো একদিন প্রযুক্তি ব্যবহার শিখবে। যে স্মার্ট বাংলাদেশ সেই স্মার্ট বাংলাদেশ অর্থাৎ উন্নত সমৃদ্ধ গড়ে তোলার মুল কারিগর শিশুরাই নেতৃত্ব দিবে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটাকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে পালন করি। জাতির পিতা আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।একটি দেশ দিয়েছেন। আত্ম পরিচয় এনে দিয়েছেন। জাতির পিতা এদেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। তাই তাঁর জীবনের সমস্ত সুখ সুবিধা বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন যাতে বাংলাদেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং উন্নত জীবন পায়। তাই ৪৮ সাল থেকে শুরু করে ৭১ সাল পর‌্যন্ত তাকে বার বার কারাবরণ করতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় এনে দিয়েছে। ৭৫ এর আগষ্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সকল সুযোগই একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিলো। মাত্র ৩ বছর ৭ মাসে জাতির পিতা আমাদের একটা সংবিধান দিয়েছিলেন। যে সংবিধানে এদেশের মানুষের প্রাথমিক শিক্ষাকে অ্ববৈতনিক করা, নারী শিক্ষার সুযোগ, নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসন্ থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা তিনি করে গিয়েছিলেন।

শিশুদের সুরক্ষার জন্য তিনি শিশু আইন প্রণয়ন করেন। কোন শিশু যেন অবহেলিত না থাকে। জাতির পিতার যে আকাঙ্খা ছিলো দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেই সময়ই আঘাতটা এলো। এরপর আর বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ কোন সম্ভবনা ছিলো না। অশ্রুসিক্ত কন্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই টুঙ্গিপাড়া মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্মগ্রহন করেন। টুঙ্গিপাড়া তখন ঢাকা রাজধানী থেকে অনেক দুরে। ২২ থেকে ২৪ ঘন্টা সময় লাগতো টুঙ্গিপাড়া আসতে। এই মাটিতেই তিনি ঘুমিয়ে আছেন। আজকে এখানে আমরা জাতীয় শিশু দিবস পালন করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত।

আমরা একটা জিনিসই চাই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করি। কারণ শিশু কাল থেকেই বঙ্গবন্ধু দেখেছেন এদেশের মানুষের ক্ষুধাপিড়িত কংকারসার অবস্থা। পেটে খাবার নেই , রোগের চিকিৎসা নেই। যা বঙ্গবন্ধুকে ব্যথিত করতো। তাই তিনি গরীব অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করতেন। আমার দাদির কাছে শুনেছি তিনি বন্ধুদের নিজের বই, মাথার ছাতাটাও দিয়ে দিতেন। কাপড়চাপড়ও বিলিয়ে দিতেন। এরজন্য কখনো তারা বাবা-মা বঙ্গবন্ধুকে বকাঝকা দিতেন না। বরং উৎসাহিত করতেন।
এক সময় সমগ্র উপমহাদেশে দুর্ভিক্ষু দেখা দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। এই দুর্ভিক্ষের সময় গোলার ধান মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। এভাবে মানুষের প্রতি শিশুকাল থেকে তার একটা আলাদা দায়িত্ববোধ ছিলো। তার প্রতিফলন ঘটেছে পরিবর্তিকালে। তিনি যখন দেশ স্বাধীন করে এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন।