ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে সর্বোচ্চ ২ বছর জেল ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা

টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়া প্রকাশ করেছে। এতে ফোনে বা অনলাইনে অশ্লীল, অশোভন বা ভয়ভীতি সৃষ্টিকারী বার্তা প্রেরণে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, খসড়াটি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জনগণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

খসড়া অধ্যাদেশের ধারা ৬৯ অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে অশ্লীল, ভীতিকর, অপমানজনক বা অশোভন বার্তা, ছবি বা ভিডিও পাঠালে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড বা দেড় কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

 অপরাধ গুরুতর হলে শাস্তি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া — বারবার ফোন করে কাউকে বিরক্ত করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে (ধারা ৭০)। এ জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।

বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের জেল বা দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

খসড়া অনুযায়ী, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপসহ সব ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাকে সরকারি অনুমোদন ও নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে এসব প্ল্যাটফর্মকে নিরাপত্তা সংস্থার কাছে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার যেকোনো প্ল্যাটফর্ম সাময়িকভাবে বন্ধ বা স্থগিত করার ক্ষমতা রাখবে।

নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন’ গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে।