পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন তাঁর বোন উজমা খান। আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবার তাঁকে সাক্ষাতের অনুমতি দেয় এবং তিনি কারাগারে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ২০ মিনিট কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে উজমা খান সাংবাদিকদের জানান, ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে তিনি “খুব রেগে ছিলেন”। উজমার দাবি, ইমরান খানকে একটি কক্ষে সারাক্ষণ আটকে রাখা হচ্ছে এবং তাঁর কাউকে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, ইমরান খান মানসিক নির্যাতনের শিকার, এবং এ পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে দায়ী করেন।
এর আগে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, উজমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল যে তিনি কারাগারের ভেতরে ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি আরেক বোন আলিমা খানের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে পিটিআইয়ের চলমান কর্মসূচির কারণে আদিয়ালা কারাগারের আশপাশে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ফ্যাক্টরি নাকা এলাকায় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নারী পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। দাঙ্গাবিরোধী ব্যারিকেডও বসানো হয়েছে।
এত বাধা সত্ত্বেও আলিমা, উজমা এবং তাঁদের আরও দুই বোন হেঁটেই কারাগারের দিকে এগোতে থাকলে গোরখপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ একাধিক মামলার বিচার চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে পরিবার ও আইনজীবীদের তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি না দেওয়ায় পিটিআই বারবার উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।
গত সপ্তাহে ইমরানের বোন আলিমা খান, উজমা খান, নোরিন খান নিয়াজিসহ পিটিআইয়ের কয়েকজন সদস্য কারাগারের বাইরে জড়ো হন। পিটিআই দাবি করে, তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে ছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাঁদের সহিংসভাবে আটক করে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, সরকার বিশ্বাস করে—২০২৩ সালের ৯ মে ইমরানের গ্রেপ্তারের পর যে সহিংসতা ছড়িয়েছিল, তাঁর বোনেরা সে পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।