বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামী মোবাইলটি হলো ফ্যালকন সুপারনোভা আইফোন-৬ পিংক ডায়মন্ড।
এটি তৈরী করেছে মার্কিন বিলাসপণ্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন। মোবাইলটির দাম ৪৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।
তবে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে অত্যন্ত সাধারণ মানের একটি মোবাইল এটি। ১ জিবি র্যাম, ১৬ জিবি মেমোরি এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে এতে।
এধরণের ফিচারের মোবাইলগুলোর দাম ১৫-১৬ হাজারের বেশি হওয়ার কথা নয়।
তবে, এই মোবাইলের মূল আকর্ষণ হলো গোলাপী হীরার ব্যবহার।
মোবাইলের পিছনে বসানো হয়েছে একটি পিংক ডায়মন্ড। এছাড়াও এর বাইরের অংশ স্বর্ণ এবং প্লাটিনামে মোড়ানো।
মূলত মূল্যবান এসব ধাতুর ব্যবহারের কারণেই এই মোবাইলটির দাম এত বেশি। ফ্যালকন সুপারনোভা আইফোন-৬ এর আরও দুইটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে।
এর মধ্যে অরেঞ্জ ভার্সনের দাম ৪২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার এবং নীল ভার্সনটির দাম ৩২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।
সবচেয়ে দামী পিংক মডেলটি বর্তমানে কে ব্যবহার করছেন সে সম্পর্কে মুখ খোলেনি ফ্যালকন। মূলত, নিরাপত্তাজনিত কারণে এধরণের তথ্য গুলো গোপন রাখে তারা।
তবে, ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানি এই ফ্যালকন সুপারনোভা আইফোন-৬ পিংক ডায়মন্ড মোবাইলটির মালিক বলে দাবি করে আসছে বিভিন্ন গনমাধ্যম।
ফ্যালকন সুপারনোভা পিংক এর পর বিশ্বের দ্বিতীয় দামী মোবাইলটি হলো আইফোন-৫ ব্ল্যাক ডায়মন্ড।
এটি তৈরী করতে নয় সপ্তাহ সময় লেগেছিল। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৩৫ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সলিড গোল্ড।
হংকং এর এক ব্যবসায়ীমোবাইলটির নকশা করতে স্টুয়ার্ট হিউজেসকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এর জন্য নিজের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ব্ল্যাক ডায়মন্ড ব্যবহার করেন ওই ব্যবসায়ী।
এটির ফ্রেম তৈরী করা হয়েছে ৬০০ টি নিখুঁত সাদা হীরে দিয়ে। পেছনের অংশ স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো হয়েছে এবং আ্যপলের লোগো তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৫৩ টি হীরা।
২৬ ক্যারেটের বিরল অপূর্ব সুন্দর ব্ল্যাক ডায়মন্ড ব্যবহার করা হয়েছে মোবাইলটির হোম বাটনে।
অসাধারণ এই মোবাইলটি তৈরী করতে খরচ হয়েছে ১৩৫ কোটি টাকার বেশি।
বিশ্বের তৃতীয় দামী মোবাইলটির নকশাও করেছে স্টুয়ার্ট হিউজেস। আইফোন ৪ এস এলিট গোল্ড নামের এই মোবাইলের ফ্রেমে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০ টি নিখুঁত হীরে।
প্রতিটি হীরা-ই ১০০ ক্যারেটের বেশি। মোবাইলের ব্যাক কভার এবং আ্যপলের লোগো তৈরী করা হয়েছে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে। এই অংশে আরও ৫৩ টি ডায়মন্ড বসানো হয়েছে।
উপরের অংশটি তৈরী হয়েছে আসল টি রেক্স ডাইনোসরের হাড়ের পালিশ করা টুকরো, বিভিন্ন বিরল পাথর এবং দৃঢ় প্লাটিনাম দিয়ে।
মেইন নেভিগেশান অংশে বসানো হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ক্যারেটের সিংগেল কাট হীরক।
এই মোবাইলটির মেমোরি ৬৪ জিবির। এখন পর্যন্ত মাত্র দু'টি আইফোন ৪ এস এলিট গোল্ড তৈরী করা হয়েছে। যার প্রতিটির বাজারমূল্য ছিল ৬৮ কোটি টাকা।
২০১০ সালে অ্যাপলের জনপ্রিয় সিরিজ ফোর এর নকশা করা আইফোন-৪ ডায়মন্ড রোজ বাজারে আসে।
স্টুয়ার্ট এই ফোনটির ফ্রেম হাতে তৈরি করেন এবং এতে তিনি ব্যবহার করেন মোট ১০০ ক্যারেটের প্রায় ৫০০টি নিখুঁত রোজ ডায়মন্ড।
পেছনের অংশেও রোজ গোল্ডের অ্যাপল লোগো ও ৫৩টি ডায়মন্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রধান ন্যাভিগেশন অংশে ৭ দশমিক ৪ ক্যারেটের সিঙ্গেল কাট পিংক ডায়মন্ড ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত আছে ৮ ক্যারেটের একটি বিরল সিঙ্গেল কাট নিখুঁত ডায়মন্ড।
৩২ জিবির এই লিমিটেড এডিশনের হ্যান্ডসেটটি এখন পর্যন্ত ২টি বানানো হয়েছে। যার একেকটির দাম রাখা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা।