দক্ষিনী সিনেমার লিডিং সুপারস্টার থালাপতি বিজয়। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৪১০ কোটি রুপি।
শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন থেকেই বছরে আয় করেন ১০ কোটি রুপির মতো। সিনেমার পাশাপাশি ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকেও আয় করেন এ অভিনেতা। তার বছরে আয় ১০০ থেকে ১২০ কোটি রুপি।
এই অভিনেতার বেশ কিছু দামি গাড়ি রয়েছে। বিজয়ের কালেকশনে আছে ‘রোলস রয়েস ঘোস্ট’। গাড়িটি কিনেছিলেন ইংল্যান্ড থেকে। যার দাম ৭.৯৫ কোটি রুপি।
এছাড়া গ্যারেজে অডি এএইট আছে। এই গাড়িটির দাম ১ কোটি ৩০ লাখ রুপি। বিজয়ের একটি বিএমডব্লিউ ফাইভ সিরিজের গাড়ি আছে, যার মূল্য ৭৫ লক্ষ টাকা। প্রায় ৯০ লাখ মূল্যের
একটি বিএমডব্লিউ এক্স রয়েছে তার কালেকশনে।
তাঁর গ্যারেজে সবচেয়ে সস্তার গাড়িটি হলো মিনি কুপার। যার দাম ৩৫ লাখ রুপি। বিজয়ের বিলাসবহুল একটি বাংলো রয়েছে, যেখানে তিনি তাঁর পরিবারের সাথে থাকেন।
বিজয়ের পিতা এস এ চন্দ্র শেখর ছিলেন তামিল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিজের একজন নামকরা পরিচালক। মা সভাচন্দ্র শেখর পেশায় একজন প্লে ব্যাক সিঙ্গার।
ব্যাকআপ থাকলেও ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করতে হয়েছে বিজয়কে। ক্যারিয়ারের শুরুতে চেহারার নিয়ে তাকে কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়েছে তাকে।
কালো বলে অনেকেই তাকে নিয়ে উপহাস করতো। তামিল নাড়ুর একটি বিখ্যাত ম্যাগাজিন বিজয়কে কুৎসিত এবং অভিনয়ের অযোগ্য বলেও উল্লেখ করেছিলো। যদিও পরে সেই ম্যাগাজিন তার প্রশংসা করে ছবি ছেপেছিলো।
মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে নাম লেখান থালাপাতি বিজয়। ‘বেট্রি’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করেন তার বাবা।
প্রথম সিনেমার জন্য ৫০০ রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমাতে তাকে দেখা যায়।
তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পুভে উনাকাগা’। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অভিনেতার ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করে। এখান থেকেই বিজয় প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে স্থান পায়।
পরপর বক্স অফিসে সফলতা পাওয়ায় তামিল সিনেমার ব্র্যান্ড হয়ে ওঠেন থালাপতি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
উপহার দিতে থাকেন থিরুমালাই, ঘিলি, পোককিরি, থুপাক্কি, সরকার, মার্শাল এর মতো অসম্ভব সুন্দর সিনেমা।
তামিল সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিজ রজনীকান্তের হাত ধরে উঠেছে ঠিকই, তারপরে এগিয়ে যাওয়াটা বিজয়ের মাধ্যমে।
তাই অনেকের মতে রজনী কান্তের পর বিজয়ই সেরা। শাহরুখ, সালমান, আমীর, অক্ষয়দের মতো সুপারস্টারদেরও মাঝে মধ্যে হার মানান অভিনেতা 'বিজয়'।
থালাপাতি বিজয় শুধু মুভি লাইফে হিরো নন, রিয়েল লাইফেও একজন হিরো । অভিনয়ের পাশাপাশি জনকল্যানমূলক কাজেও নিজেকে উজার করে দিয়েছেন তিনি।
জনকল্যাণ মূলক কাজের জন্য এই অভিনেতা প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বিজয় মাকাল ইয়াকাম’। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সামাজিক নানা উন্নয়ন কাজ করে থাকে।
বিজয় তার জন্মদিনে বেশিরভাগ সময় কাটান অনাথ, গরীব বাচ্চাদের সাথে। প্রচার অভিমুখী এ মানুষটি কারো বিপদ চোখে পড়লেই ছুটে যান।
অতি সাধারণ চলাফেরা এই অভিনেতা সাধারণ মানুষের আইডল। একদম সাদামাটা মন মানসিকতার এক অন্যন্য উদাহরণ থালাপাতি বিজয়।