ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টোরি পোস্ট করে আলোচনা তৈরি করেছেন। রোববার রাতে ফেসবুকে শেয়ার করা সেই স্টোরিতে তমা বলেন, “যে চিটার, সে সবসময়ই চিটার,” যা থেকে অনেকে তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন।
তমা মির্জা তার পোস্টে উল্লেখ করেন যে, জীবনের তিনটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখা উচিত। তিনি বলেন, “একবার যে প্রতারণা করে, সে সবসময়ই প্রতারণা করে। একবার যে মিথ্যা বলে, সে সবসময়ই মিথ্যা বলে।” এর মধ্য দিয়ে তিনি বিশ্বাস ভঙ্গের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তমার মতে, কেউ যদি একবার প্রতারণা করে, তবে সেই বিশ্বাসভঙ্গকারীকে আবারও বিশ্বাস করা উচিত নয়।
তমা আরও যোগ করেন, “যদি কেউ তোমার হৃদয় ও বিশ্বাস ভাঙে, সেটা তার ভুল। কিন্তু তুমি যদি সেই ব্যক্তিকে আবারও বিশ্বাস করো এবং ভালোবাসো, তাহলে সেটা তোমার ভুল হবে।” এই বক্তব্যটি খুবই ব্যক্তিগত বলে মনে হয়, যা তার জীবনের কোনো অভিজ্ঞতার প্রতিফলন হতে পারে।
অন্যদিকে, তমা মজার ছলে আরও একটি কথাও যোগ করেন, “মারো কাছা, দাও দৌড়। ভুলেও পেছনে তাকাইয়ো না।” এই মজার মন্তব্যটি অনেকের মধ্যে বিনোদন সৃষ্টি করেছে এবং তার ফলোয়ারদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের মন্তব্য করার পর, তমা মির্জা ও পরিচালক রায়হান রাফীর মধ্যকার সম্পর্কের অবনতির খবর আরও জোরালো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। একসময় একসঙ্গে কাজের সূত্রে তমা ও রাফীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, কিন্তু বর্তমানে তাদের মধ্যে সেই সম্পর্ক অবনতির পথে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও তমার এই পোস্টটি সরাসরি রায়হান রাফীর উদ্দেশ্যে করা কিনা, তা স্পষ্ট নয়, তবে অনেকে মনে করছেন যে এটি তার দিকেই ইঙ্গিত করছে।
রায়হান রাফী তার এক সাম্প্রতিক মন্তব্যের মাধ্যমে তমার সঙ্গে সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যা নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা চলছে। তমার ফেসবুক স্টোরির পর এ নিয়ে আরও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
তমা মির্জার এই পোস্টে তার ভক্ত-অনুরাগীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে বলেছেন, প্রতারণাকারীকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনার বিষয়টি আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে।
সামাজিক মাধ্যমে তার ভক্তরা তাকে সমর্থন দিচ্ছেন এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তমা মির্জার এই স্টোরি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র জগতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে তার ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে আলোচনা চলছে।
এতে বোঝা যাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যম তারকাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলছে।