সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ধার্য ছিল। তবে প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় আদালত নতুন তারিখ হিসেবে আগামী ৩০ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন।
এর ফলে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১২১ বার পেছানো হলো।
ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক সেদিন আদালতে হাজির হন। তিনি মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে মৌখিকভাবে অবহিত করেন। এরপর আদালত তাঁকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। সাগর সরওয়ার ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং মেহেরুন রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করে থানার পুলিশ, পরে দায়িত্ব যায় ডিবির হাতে। কিন্তু তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাবকে।
দীর্ঘ এক যুগ পর, ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছ থেকে নিয়ে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন জামিনে আছেন, আর বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।