জবি প্রতিনিধি :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ বোর্ড ২৯ নভেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম-এর মেয়াদ শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর। ফলে তড়িঘড়ি করে তার সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তৎপর তিনি। যদিও এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
জুলাই আন্দোলনে সরাসরি বিরোধী অবস্থান, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় প্রত্যাক্ষাণ করে প্রতিবাদের মতো ঘটনা ছাড়াও নারী শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি, নারী সহকর্মীর সাথে অসদাচরণ, গবেষণা জালিয়াতি সহ ডজন খানেক অভিযোগ আছে। সে সাথে নতুন করে যুক্ত হলো নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ।
জবি দর্শন বিভাগের ১১ তম ব্যাচ (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) এর শিক্ষার্থী মো. শাওন শেখ। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন শিক্ষক হতে বাগিয়ে নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য পদ। সে সময় জবিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে তোড়জোড় করলেও স্থগিত হয় বোর্ড। তবে পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের প্রভাবশালী শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. হাফিুল ইসলাম এর সাথে একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এবং এই শিক্ষকের সাথে গভীর সখ্যতা ওপেন সিক্রেট। যা নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। ফলে ড. হাফিজুল ইসলামের নিয়োগ বোর্ড সদস্য হিসেবে থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়র অধ্যাপক। সে সাথে বোর্ড ম্যানেজ করতে ১২ লাখ টাকা লেনদেনের গুঞ্জনও আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এছাড়া জগন্নাথ নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হওয়ায় তার আপন চাচাতো ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ প্রার্থী হওয়া স্বত্তেও তিনি বোর্ড সদস্য হওয়ায় আছে বিতর্ক। নিয়োগ বোর্ডের প্রাথমিক ফলাফলে শাওন শেখ,তাসলিমা আক্তার সহ কয়েকজনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে স্থান পাই নাই অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগ নেতা শাওন শেখের সাথে অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে এবং সে অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় এবং মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয়। তার চেয়ে যোগ্য প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার নামে বাদ দেওয়ায় নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নিয়োগ ঘিরে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সামনে আছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ-এর চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।