ক্যাম্পাস

রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও একই বিভাগের ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া এবং এরপর জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত, যারা রাবির সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বেও রয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ১৭ মে, শনিবার বিকেলে। অভিযোগ অনুযায়ী, শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে চার শিক্ষার্থী ভিডিও ধারণ করে এবং তা প্রকাশ না করার শর্তে প্রথমে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ প্রথমে আড়াই হাজার টাকা এবং তারপর আরও এক লাখ টাকা দেন। পরদিন আরও দুই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন: সাজ্জাদ হোসেন সজীব – দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি, রাবিসাসের যুগ্ম সম্পাদক, সিরাজুল ইসলাম সুমন – খবরের কাগজ প্রতিনিধি, রাবিসাসের সহসভাপতি, আতাউল্লাহ – সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা, আইবিএ শিক্ষার্থী, নাজমুস সাকিব – আইন বিভাগের শিক্ষার্থী
তবে অভিযুক্ত সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা দাবি করেন, তাদের কারো সঙ্গেই আর্থিক লেনদেন হয়নি এবং এটি একটি সাজানো নাটক।
অন্যদিকে, ঘটনার একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আনেন। তিনি বলেন, আপনারা তো টাকা নিবেন আমার কাছ থেকে আমি আমার গাড়িটা বন্ধক রাখার কথা বলেছি।
ঘটনার পর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদের একজন, আতাউল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইতিমধ্যে অব্যাহতি পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, "বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।