ক্যাম্পাস

জাবিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মদদদাতা শিক্ষকে জগন্নাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
জাবিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মদদদাতা শিক্ষকে জগন্নাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার অন্যতম হোতা দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ কে আটক করে পুরিশের কাছে সোপর্দ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জবি) কিছু শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে জবি ক্যম্পাসে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানায় তাকে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। 
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম বলেন, আজ সকালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সে আসলে আমরা তাকে চিনতে পারি। শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সহযোগিতা করার তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটা মামলা আছে। আমরা তাকে কোন কিছু না করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। 
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থী তাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে দিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপর হামলার ঘটনায়। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। আশুলিয়া থানা যদি তাকে গ্রেফতার দেখায় তাও করতে পারে অন্যদিকে আমরাও যদি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পাই তাকে গ্রেফতারের বিষয় তাহলে আমরা গ্রেফতার করে আদালতের কাছে সোপর্দ করবো।
জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে  গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রসী হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হানলার মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে। গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে দেখা যায় ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে অভিহিত করেন।
 তিনি বলেন ‘ আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’ শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নুরুল আলমকে প্রধান করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম। মামলায় হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনকে  ৭ নাম্বার আসামি করা হয়েছে।