বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে না থাকার বিষয়ে বোমা ফাটালেন তামিম ইকবাল। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমি কোথাও বা কাউকে বলিনি ৫ ম্যাচ খেলবো। এটা মিথ্যা। জানি না কীভাবে এটি মিডিয়াতে ছড়ানো হয়েছে। শুধু তিন নির্বাচককে জানিয়েছিলাম আমি পুরোপুরি ফিট না, দল ঘোষণার সময় যেন তারা এটি মাথায় রাখেন।
এই ওপেনার আরও বলেন, আমি নিশ্চিত কালকে নান্নু ভাইও কথাটা ক্লিয়ার করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয়, সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানাই। তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।
এরপর ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল তাও পরিষ্কার করে দেন তামিম, ‘ফিজিও’র রিপোর্টে ছিল প্রথম ম্যাচের পরে আমার ব্যথার অবস্থা কী, দ্বিতীয় ম্যাচের পর কী হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখের (নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ) ম্যাচের দিন অবস্থা কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি ফিট, কোনো সমস্যা নেই। তবে আমাকে বলা হয়েছিল আমি রেস্ট নিতেও পারি।
তিনি আরও বলেন, আমি কোনো কন্ট্রোভার্সি চাইনি। বিশ্বকাপের মাঝেও যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে, তাই যাতে কোনো ঝামেলা না হয় তাই আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম।
ওপেনিংয়ের বদলে নিচের ব্যাট করার কথা বিসিবি থেকে প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে বলেও জানান তামিম। বললেন, বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললেন, তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না।
এর প্রতিক্রিয়ায় কী বলেছেন তামিম, তা-ও ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেছেন এই ব্যাটার। তামিম বলেন, তাদের প্রস্তাব শুনে আমি তো অবাক, জিজ্ঞেস করলাম এটা কোন ধরনের কথা। এরপর বলা হলো মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করানোর কথা। অথচ আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে খেলে আসছি। আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে, ইচ্ছে করে। আমি বলেছি, এখনো ১২-১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকব। তো কী কারণে খেলব না?