বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ! আঙ্গুলের চোটে অন্তত চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে তাই তাঁর আর খেলা হচ্ছে না। এমনকি আগামী আফগানিস্তান সিরিজেও তাঁকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে শংকা।
আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ৪৩তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের তৃতীয় বলে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন আইরিশ ব্যাটার জর্জ ডকরেল।
সজোরে খেলা সেই শটে ক্যাচ ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হন সাকিব। ক্যাচ মিসের পর তাকে ব্যথায় কাতরাতে দেখা যায়।
তবে তখনও বোঝা যায়নি ঠিক কতটা আঘাত পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়। ওই আঙ্গুল নিয়েই তখন করেছেন ফিল্ডিং।
এরপর ব্যাট হাতে সাবলীলভাবে ব্যাটিংও করেন তিনি। দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে নেমে সাকিব করেছিলেন ২৭ বলে ২৬ রান।
পরে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় স্ক্যান করে তাঁর আঙ্গুলের অবস্থা জানা যায়। স্ক্যান রিপোর্টে ওই আঙ্গুলে ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করার সময় সাকিব তার ডান আঙুলের তর্জনীর উপরের ভাগে আঘাত পান।
আজ (শনিবার) এক্স-রে রিপোর্টে ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। এই ধরনের আঘাত সাধারণত সারতে প্রায় ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। এই কারণে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না।’
এদিকে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, কেবল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে নয়, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও সাকিবকে পাওয়া যাবে কি না এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
কেননা জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আফগানদের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
বৃষ্টি বাগড়ায় প্রথম ওয়ানডে ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩২০ রান তাড়া করে ৩ উইকেটের এক রোমাঞ্চিত জয় পায় বাংলাদেশ। তাই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি পরিণত হয়েছে সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে।
আর সেই লড়াইয়ের আগে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। এখন সাকিবকে ছাড়াই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা।
এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ উঠবে টাইগারদের হাতে। পাশাপাশি বিশ্বকাপ সুপারলীগে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ১৫৫ পয়েন্টে ভাগ বসাবে বাংলাদেশ। আর হারলে সিরিজ হবে ড্র।
সিরিজের দুই ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি সাকিব। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ২০ রান করলেও, বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় বল করতে হয়নি তাকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে ছিলেন উইকেটশূন্য। ব্যাট হাতে করেন ২৬ রান।