পুলিশ বাহিনীতে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, পুলিশ বাহিনীর অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং নিরপরাধ সদস্যদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগের কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে অংশ নেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের পুলিশের মধ্যে যারা অপরাধী, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা নির্দোষ, তারা যেন তাদের কাজ করতে পারে। আমরা চাই, শান্তি-শৃঙ্খলা শুধু আগের মতো নয়, আগের চাইতেও উন্নত হোক।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাঠ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই আসল সরকার। মাঠ পর্যায়ে আপনারা যেভাবে কাজ করবেন, সেভাবেই দেশের অগ্রগতি নির্ভর করবে।
পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের মধ্যে যারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি পুলিশ বাহিনীকে সুশৃঙ্খল রাখতে এবং জনগণের সেবায় আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসনের মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা উচিত। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সেবা প্রদান এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কে কত ভালো কাজ করতে পারে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করুন।”
তিনি উল্লেখ করেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করাই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তাই এই কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
মাঠ প্রশাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আপনাদের কাজের ওপরই দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করছে। তাই আপনাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে মনোযোগী হয়ে কাজ করতে হবে।
’২৪ সালের অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই চেতনা আমাদেরকে পথ দেখাবে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।