আইজিপি বাহারুল আলম জানিয়েছেন, সারা দেশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। তবে ছিনতাই ও খুনের মতো অপরাধ কমাতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তিনি জানান, আগুনের ঘটনার তদন্ত চলছে এবং তদন্ত কমিটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে। এছাড়া সমন্বয়কদের হুমকির ঘটনাগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত সিরিয়াস কিছু পাওয়া যায়নি।
আইজিপি বলেন, অপরাধ কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ঢাকাসহ সারা দেশের পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, স্বাধীনতার পর জনগণ এমন পুলিশ বাহিনী প্রত্যাশা করেনি। জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। তিনি জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত, তাহলে প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হতো।
কমিশনার আরও বলেন, পুলিশের ওপর মানুষের ক্ষোভের কারণ বিশ্লেষণ করা উচিত। জনগণের আস্থা ফেরাতে পুলিশের ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনতে হবে।
আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের এসব বক্তব্য পুলিশের চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি ইঙ্গিত দেয়। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালালেও জনসাধারণের সহযোগিতা ও আস্থার ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।