ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপ ২০২৪-এর সমাপনী অধিবেশনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, সংস্কার বিষয়ে সরকার একা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। তিনি বলেন, কমিশন থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা করা হবে, যা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত এই সংলাপে মাহফুজ আলম বলেন, “সংস্কারের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো স্বল্পমেয়াদি এবং কোনগুলো দীর্ঘমেয়াদি, তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সরকারের অগ্রাধিকার স্পষ্ট হবে।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা না গেলে, সংস্কার শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ৭২-এর সংবিধান নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সংবিধানের কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের ত্যাগের কথা স্মরণ করা উচিত।”
গঠনমূলক সমালোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে মাহফুজ বলেন, “সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা জনগণের দায়িত্ব। সমালোচনা সরকারের কাজের গতি বাড়ায় এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে।”
অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, মানবাধিকার কর্মী ইলিরা দেওয়ান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
সংলাপে বক্তারা রাষ্ট্রীয় সংস্কার, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গঠনের ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁরা বলেন, এসব উদ্যোগ কেবলমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।