দোরগোড়ায় শীত, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে বাড়ছে ত্বকের রুক্ষতা, টান, খড়ি–দেখা সমস্যা। এই মৌসুমে সঠিকভাবে যত্ন না নিলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। এমনকি একজিমা কিংবা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের জটিলতাও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শীতকালে ত্বকের সঠিক পরিচর্যার জন্য কী কী বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, তা জেনে নেওয়া যাক—
শীতের শুষ্ক বায়ু ত্বক থেকে দ্রুত আর্দ্রতা টেনে নেয়। তাই ত্বক হাইড্রেটেড না থাকলে খসখসে ভাব, টান ও ফাটার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
শুধু বাইরে ময়েশ্চারাইজার দিলেই চলবে না—শরীরের ভেতর থেকেও পানির ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতেও প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করলে ত্বক থাকে বেশি সতেজ ও উজ্জ্বল।
শীতে ত্বক রুক্ষ ও নিস্তেজ হয়ে দেখা দেয়। এই সমস্যা কমাতে নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন প্রয়োজন। তবে সতর্কতা জরুরি—অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন করলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত হালকা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করা যেতে পারে।
শীতে রোদ কম তীব্র হলেও সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থাকে সক্রিয়। তাই সানস্ক্রিন না লাগালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। শীতকালে এসপিএফ–৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শীতের শুষ্কতায় ঠোঁট দ্রুত ফেটে যায়। তাই লিপ বাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁট থাকে নরম ও আর্দ্র।
শীতকালের ত্বক পরিচর্যায় পণ্য নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন— হালকা ক্লিনজার, গ্লিসারিনযুক্ত ময়েশ্চারাইজার, প্রাকৃতিক তেলভিত্তিক পণ্য এসব ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা অনেক কমে এবং ত্বক থাকে কোমল।