লাইফস্টাইল

উদ্যোক্তা ফারহানা হওয়ার গল্প দেশের সেরা ১০ হেয়ার এক্সপার্ট হতে চাই

শামসুল আলম (নিজস্ব প্রতিবেদক)

শামসুল আলম (নিজস্ব প্রতিবেদক)

মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
উদ্যোক্তা ফারহানা হওয়ার গল্প দেশের সেরা ১০ হেয়ার এক্সপার্ট হতে চাই
আমি সৌন্দর্য চর্চা নিয়ে কাজ করি। আমার আমার পার্লারের নাম মেরিট প্লাস পার্লার এন্ড মেকওভার। আমার আসলে সব সময় ইচ্ছে ছিল পোশাক নিয়ে কাজ করা। হঠাৎ করেই একদিন আমি মনে করলাম যে আমার আসলে পার্লার দেওয়া উচিত আমি যে এরিয়াতে থাকি ওখানে ভালো কোন পার্লার নেই সৌন্দর্য চর্চা নিয়ে আসলে কাজ করলে হয়তো বা ভালো কিছু করতে পারবো। তারপর সাত দিনের ভিতরে সিদ্ধান্ত পার্লারে কাজ শিখব এবং ওই সাত দিনেই আমার পার্লারে ডেকোরেশন এর কাজ করে ফেলি ১০ থেকে ১৫ দিন পরে আমার পার্লার টা উদ্বোধন করে ফেলি। হেয়ার স্টাইল নিয়ে আমার বরাবর ছোটবেলা থেকে খুব মনে হতো যে হেয়ার স্টাইল কিংবা এক্সক্লুসিভ হেয়ার কাট আমি কাটবো। 

১৯৯৯  এর কথা,  ইউনিলিভার একটা প্রোগ্রাম করেছিল যেখানে সব সেলিব্রেটি কিংবা উচ্চবিত্ত যারা আছেন তারা ওখানে গিয়ে একদিনের জন্য হেয়ারকাট কিংবা হেয়ার স্টাইল করে আসতে পারবে এবং যেটার চার্জ ছিল ৫,০০০ টাকা। এরপর থেকে আমার কাছে মনে হল যেএত টাকা দিয়ে একটা হেয়ারকাট মানেকি  হেয়ার কাট। 

তারপর থেকেই হেয়ারকাট কিংবা হেয়ার স্টাইলের প্রতি আমার কাজ করার উৎসাহ জাগে।আমি যখন কাজ শুরু করেছি এখন পার্লার নিয়ে মানুষেরদ্বিমত  পোষণ করতো।আমার পরিবার থেকেই অনেকে না করেছিল যে এগুলি কাজ করা ভালো না। আমার ছোটবেলা থেকেই একটা মনোভাব ছিল আমি যেটা করবো সেটা আমি করেই ছাড়বো এর জন্যই আজকে ২০ বছর হয়ে গেল করছি। কোন কথা  মাথায় না নিয়ে কাজ করেছি। 

সামাজিকভাবে যে বাধাটা এসেছিল সেটাও আসলে খুব ধৈর্য সহকারে মোকাবেলা করেছি। আমার আসলে এই ব্যবসাটা ২০ বছরের। কিন্তু আমি নিজে কাজ করা শুরু করেছি চার বছর হল। আমার সাথে আরও কাজ করে চার থেকে পাঁচ জন। আমি আসলে চাই বাংলাদেশের মধ্যে টপ টেন হেয়ার এক্সপার্ট হব।