দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৮১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ হয়েছে।বেশি মুনাফা পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কঠোর পরিচর্যায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে।এ উপজেলায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। এ উপজেলায় কন্ড(মুড়িকাটা)পেঁয়াজ ২২ হেক্টর, চারা পেঁয়াজ ৪২ হেক্টর ও গ্রীষ্ম কালীন ১৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজের সংকট এবং চাহিদা বেশি হওয়ায় এসব কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি ঝুকছেন উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী তীরর্বতী গ্রামের চরাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে
দেখা যায়, পেঁয়াজের রেতর্ড পরিমাণ আবাদ হয়েছে বাম্পার ফলনের রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ ও চাষীরা। কাঙ্ক্ষিত লাভের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমান পাইকারি বাজারে নতুন পেঁয়াজ মণ প্রতি ২ হাজার ২০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে বাজারে দেশী মুড়ি কাটা পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আমদানি নাই বলে জানায় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ চাষিরা বলছেন, দেশী পেঁয়াজের চেয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে নতুন পেঁয়াজ এর দাম কম। এ বছর পাইকারি বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাতেও উৎপাদন খরচ উঠিয়ে দ্বিগুণ লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে কয়েকজন পেঁয়াজ চাষির সাথে কথা বললে তারা জানান- জমি তৈরি, সার, বীজ, পরিচর্যা খরচসহ বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। অল্প সময়ের কম পরিশ্রমে এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে ও পেঁয়াজের চাহিদা বেশ ভালো হওয়ায় জমি থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ চাষি সাখোওয়াত হোসেন জানান, তিনি এ বছর প্রায় ২ বিঘা জমিতে এন ফিপটি-৩ কুষ্টিয়া থেকে পেঁয়াজের বীজ সংগ্রহ করেন এবং উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কিছু বীজ সংগ্রহ করে চাষ করেন। জমি তৈরি, সার, বীজ,পরিচর্যা খরচ বাবদ তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করেন ২ বিঘায় উৎপাদন ফসল পাবেন ১৪০ মণ। ইতোমধ্যে তিনি ১৪০ মণ পেঁয়াজ তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তবে এখন পেঁয়াজের বাজার দর আরও কমতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি। মেজবাহুল নামে এক পেঁয়াজ চাষি জানান, প্রথমে যারা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করেছেন তাদের বেশি লাভ হয়েছে। এখন তুলনামূলক পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে এখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হলে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রফিকুজ্জামান বলেন, এই উপজেলার মাটি পেঁয়াজ চাষের উপযোগী নয় তবুও পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় প্রণোদনা প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভালো বাজারদরে পেঁয়াজ চাষিদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। উৎপাদন খরচ কম এবং পেঁয়াজের দাম ভালো হওয়ায় চাষিরা এবার লাভবান হয়েছে । এ উপজেলায় কন্ড(মুড়িকাটা)পেঁয়াজ ২২ হেক্টর, চারা পেঁয়াজ ৪২ হেক্টর ও গ্রীষ্ম কালীন ১৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।