লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক কলেজ ছাত্রীকে পালাক্রমে গণ-ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার ওই উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের শালবন এলাকায় এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার সকালে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর সাথে দইখাওয়া বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী ও দক্ষিন গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের পুত্র আব্দুর ছাত্তারের ভালো সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পযার্য়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। বন্ধুকে দিয়ে সেই ধর্ষণের ভিডিও করেন তিনি। ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে আব্দুর সাত্তার ও তার এক বন্ধু ওই কলেজ ছাত্রীকে ফের ধর্ষণ করে।
গত বৃহস্পতিবার ভিডিও ফেসবুকে ছাড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আব্দুর ছাত্তার ও তার বন্ধুরা পালক্রমে ওই কলেজ ছাত্রীকে গণ ধর্ষণ করেন এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। এ সময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দক্ষিন গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের পুত্র আব্দুর ছাত্তার, দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের পুত্র রোকন, ৫ নং ওয়ার্ডের আইয়ব আলীর ছেলে রাকিবুল, একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন, নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু, নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির পুত্র সুলতানকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ, মাহমুদুন-নবী, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ওই কলেজ ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।