অপরাধ

লালমনিরহাটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪
লালমনিরহাটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লালমনিরহাটে, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান নামে এক নেতাকে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত ওই নেতার নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কুটিরপার এলাকার আবু দারোগার ছেলে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আদিতমারী উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট) কে স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। 
সূত্রমতে, দেশের বহুল আলোচিত ঘটনা বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস চক্রের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আসে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে চক্রটির আংশিক তালিকাও প্রকাশিত হয়। সেই তালিকায় নাম আসে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ওরফে এমডি মিজানের। গণমাধ্যমে নাম উঠে আসায় শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে দলীয় পদ পদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জানাগেচে, ম্যাক সিক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন মিজানুর রহমান। যার চেয়ারম্যান তিনি নিজেই। তাঁর এলাকায় একাধিক মিজান থাকায় তিনি এমডি মিজান নামেই পরিচিত।
অভিযোগ উঠেছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেই নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন মিজানুর রহমান মিজান। সখ্যতাও গড়ে তোলেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির সাথে। আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী সংবাদমাধ্যমকে জানান, চলমান বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের এ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে জেলা আওয়ামী লীগের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তবে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কার আদেশ আত্মঘাতী ও হঠকারী। তাদের এমন সিদ্ধান্ত কখনই গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে না। তিনি অবিলম্বে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান।