অপরাধ

খোঁজ মিলল সেই আলোচিত ছাগলের

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
খোঁজ মিলল সেই আলোচিত ছাগলের
ছাগল কান্ডের সেই ছাগলের বর্তমান অবস্থানের খোজ মিলেছে সাভারে সাদেক এগ্রোর খামারে। পাশাপাশি সেখানে মিলেছে নিষিদ্ধ ব্রাহামা জাতের গরুর ও একাধিক বাছুরের সন্ধানও।
 ঈদুল আজহায় আলোচিত ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো একটি ছাগল নিয়ে জল্পনাকল্পনা গড়িয়েছে অনেক। সাদেক এগ্রোর এই ছাগল কিনতে গিয়ে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এরপরই বেরিয়ে আসতে থাকে তার বাবা এনবিআর এর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের একের পর এক দুর্নীতি। ছেলের ছাগল কাণ্ডের পর মতিউর রহমান হারান এনবিআরের পদ। ইতোমধ্যে তার সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
সোমবার (১ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে সাভারের ভাকুর্তা  ইউনিয়নের ভাংগাব্রিজ এলাকায় অবস্থিত সাদেক এগ্রোফার্মে দুদকের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময়ে নীল রঙের একটি পলিথিন দিয়ে ঘেরাও করা একটি ঘরের ভিতরে ছাগলটির সন্ধান পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখানে আসার পর একটি সেডে তিনটি ব্রাহাম জাতের গাভী ও সাতটি ব্রাহাম  বাছুরের সন্ধান পেয়েছি। এ সময়ে নীল রঙের পলিথিন দিয়ে ঘিরে রাখা একটি ছোট কক্ষে  ১৫ লক্ষ টাকা দামের সেই আলোচিত  ছাগলের সন্ধান পাওয়া যায়। এখানে কিছু নথির খাতা পাওয়া গেছে সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।যেহেতু ব্রাহামা জাতের গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ, সেহেতু এই গরুগুলোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে এবং কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিবে।
উক্ত ফার্মের ব্যবস্থাপক জাহিদ খাঁন বলেন, আমি গত দেড় মাস হলো এখানে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। এখানে মূলত গরুর দুধ উৎপাদন করা হতো। এখান থেকে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ কেজি দুধ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ  করা হতো। বর্তমানে এই খামারে গাভী ও বাছুর মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার গরু রয়েছে, তাহার মধ্যে ১২টি উট ও দুটি ঘোড়া সহ কয়েক,শ হাঁস  ও মুরগি রয়েছে। আমি সহ প্রায় ৩৫ জন কর্মী উক্ত খামারে নিয়োজিত আছি। আজ সকাল থেকে সিকিউরিটি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাহা এর আগে ছিল না। সম্প্রতি ঢাকা মোহাম্মদপুরের সাদেক এগ্রোর অভিযান চলে স্থাপনা গুড়িয়া দেয়া হয়। সেখান থেকে ছাগলটি এখানে হস্তান্ত করা হয়েছে।