সারাদেশ

শাহবাগমুখী প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, আহত ১২০

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
শাহবাগমুখী প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, আহত ১২০
বেতন-ভাতা ও পদোন্নতিসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগমুখী পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২০ শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালে তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

ডিএমপি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীদের একাংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও এর আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে অগ্রসর হতে চেয়েছিল।

মাগুরা সদর উপজেলার রাজারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম বিল্লাহ বলেন, শহীদ মিনারে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল। বিকেল তিনটার দিকে আমরা শাহবাগের দিকে যাত্রা শুরু করি। আমাদের ‘কলম নিক্ষেপ’ কর্মসূচি ছিল, কিন্তু পৌনে চারটার দিকে পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। সংগঠনগুলো হলো, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম–শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন–লিপি), সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ।
এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ সরকারের কাছে তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেছে— সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান, ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদানের জটিলতার স্থায়ী সমাধান, সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।